আন্তর্জাতিক বিচার আদালত থেকে স্থায়ী সমাধান পাওয়ার আশা প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে মায়ানমারের দিক থেকে নানা উস্কানি সত্ত্বেও বাংলাদেশ সে ফাঁদে পা দেয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, “আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের পথ থেকে সরে যাইনি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মামলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এই আদালত থেকে আমরা একটি স্থায়ী সমাধান সূত্র খুঁজে পাব।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশসমূহ এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে সব সময়ই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার নীতিতে বিশ্বাসী। জাতির পিতা প্রণীত পররাষ্ট্র নীতির সারকথা - সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এর ভিত্তিতেই আমাদের পথচলা। বিশেষ করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক ও সৌহার্দ্য বজায় রাখাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। আলোচনার মাধ্যমে আমরা দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধান করতে চাই। এটি আমাদের দুর্বলতা নয়, কৌশল। এ কারণেই মায়ানমারের দিক থেকে নানা উস্কানি সত্ত্বেও আমরা সে ফাঁদে পা দেইনি। আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের পথ থেকে সরে যাইনি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মামলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এই আদালত থেকে আমরা একটি স্থায়ী সমাধান সূত্র খুঁজে পাব।”
“আর্থ-সামাজিক খাতে অব্যাহত উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। যার সাক্ষ্য মেলে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থনের মধ্য দিয়ে। সম্প্রতি ইকোসক, সিএফসি, সি.আই.এ.পি, এ.পি.ডি.আই.এম-সহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছে। এ বছরও জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ এবং ‘প্রাকৃতিক উদ্ভিজ্জ তন্তু ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক রেজুলেশনসহ রোহিঙ্গা বিষয়ক বেশ কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে,” বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
রেল যোগাযোগের আওতায় আসবে সব জেলা: প্রধানমন্ত্রী
আমরা তা-ই বলি, যা আমাদের বাস্তবায়নের সামর্থ্য রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বে সুপরিচিত নাম বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
নতুন জীবনীশক্তি সঞ্চার করতে উদযাপন হবে মুজিববর্ষ: প্রধানমন্ত্রী
Comments