উইন্ডিজের সহজ জয়ে লুইসের এক রানের আক্ষেপ
উইন্ডিজের জিততে দরকার ১ রান, লুইসের সেঞ্চুরির জন্য চাই ৫ রান। ব্যারি ম্যাককার্থি বলে উড়িয়ে মারলেন এভিন লুইস। বল ছুটছিল সীমানার দিকে। কিন্তু হতে হতেও একটুর জন্য হলো না ছক্কা। লুইস সেঞ্চুরি পেলেন না বটে, কিন্তু তার দল জিতল অনায়াসে।
মঙ্গলবার ব্রিজটাউনে আয়ারল্যান্ডকে ১৮০ রানে বেধে রেখেছিল উইন্ডিজ। পরে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০০ বল বাকি রেখে ওই রান টপকে জিতেছে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে সিরিজেও এগিয়ে গেছে কাইরন পোলার্ডের দল।
১৮১ রানের লক্ষ্যে শুরুতে শেই হোপকে হারায় উইন্ডিজ। দ্বিতীয় উইকেটে ব্র্যান্ডন কিংয়ের সঙ্গে জমে উঠে লুইসের জুটি। তাদের ৭১ রানের জুটি ভাঙে কিংয়ের আউটে। এরপর শেমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান, রোস্টন চেজরাও থিতু হয়ে শেষ করতে পারেননি।
লুইস একাই টেনে নেন দলকে। অর্ধেক বেশি রান করেন তিনি একাই। দলকে জিতিয়ে ৯৯ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি।
এর আগে দিবারাত্রির ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে গিয়েছিল আইরিশরা। কিন্তু ক্যারিবিয়ানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় তারা। পল স্টার্লিং, অ্যান্ডি বিলবার্নি, উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডরা কেউই শুরু করেও ইনিংস টানতে পারেননি। দলের সর্বোচ্চ রান আসে লোরকান টাকারের ব্যাটে। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান করেন ৩১ রান, মার্ক অ্যাডায়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। কিন্তু তাতে দুশো রানও জমা করতে পারেনি আইরিশরা। আয়রল্যান্ডকে ধসিয়ে ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন পেসার আলজেরি জোসেফ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৪৬.১ ওভারে ১৮০ (স্টার্লিং ১৫, ডেলানি ১৯, বালবার্নি ১৬, পোর্টারফিল্ড ১৫, ও’ব্রায়েন ৪, পাকার ৩১, সিমি ৫, অ্যাডায়ার ২৯, ম্যাকব্রাইন ৪, ম্যাককার্থি ১৩, র্যানকিন ১০*, কটরেল ২/৩৯, পল ১/৩৪, জোসেফ ৪/৩২, চেইস ১/৩৫, ওয়ালশ ২/৩০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৩.২ ওভারে ১৮৪/৫ (হোপ ১৩, লুইস ৯৯*, কিং ২০, হেটমায়ার ৮, পুরান ১৭, চেইস ১৯, পোলার্ড ০*; ম্যাকব্রাইন ১/৪০, ম্যাককার্থি ১/৪৬, অ্যাডায়ার ০/২৪, সিমি ২/৪৪, র্যানকিন ১/২৬)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: আলজারি জোসেফ
Comments