মৃত্যুকেও ধোঁকা দিয়েছেন গেইল!
১৪ বছর আগের কথা। গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। তৃতীয় টেস্টের আগে ধরা পড়ে হার্টে ব্লক রয়েছে ক্রিস গেইলের। তৎক্ষণাৎ সার্জারি না করলে জীবন নিয়েই সমস্যায় পড়তে হতে পারে। মাঠে না গিয়ে তাই গেলেন হাসপাতালে। কাউকে না জানিয়ে (পরিবারকেও না) করালেন ওপেন হার্ট সার্জারি। সফল সার্জারির পর ফের ক্রিকেটে ফিরে আসেন এ তারকা। আর ফিরে আসার পর তার উপলব্ধি হয় যেন মৃত্যুকেও ধোঁকা দিয়ে ফিরলেন এ ক্যারিবিয়ান দানব। আর সেদিন থেকেই সিদ্ধান্ত নেন জীবনকে কেবল উপভোগ করেই কাটাবেন গেইল।
আর জীবনকে নিজের মতো করেই উপভোগ করছেন গেইল। বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলেও এখনও খেলছেন তরুণের মতোই। গেইলের ভাষায়, 'অস্ট্রেলিয়ায় আমার হার্ট সার্জারি হয়েছিল এবং সেটাই আমার জীবনের প্রথম সার্জারি। যখন আমার জ্ঞান ফিরল, তখন আমি বলেছি, "আমি মৃত্যুকেও ধোঁকা দিয়ে ফিরলাম।" তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে সর্বোচ্চ ভালভাবে বাঁচব এবং কখনোই পেছনে তাকাব না। তখন থেকে নানাবিধ কর্মকাণ্ডে এবং চারপাশে কি ঘটছে তা নিয়ে আমার কোন সমস্যা হয়নি। আমি সবসময়ই সচেষ্ট থাকি সর্বোচ্চটা উপভোগ করতে এবং সেটা আমাকে দীর্ঘদিন ভাল সময়ের মধ্যেই রেখেছে।'
আর কীভাবে জীবনকে উপভোগ করছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এ ক্যারিবিয়ান, 'জীবন সবসময়ই শুরুতে থাকে। আমি এটা উপভোগ করি এবং কখনোই জীবনের সঙ্গে ক্রিকেটকে মিলিয়ে ফেলি না। পৃথিবীর যেখানেই আমি যাই না কেন সর্বোচ্চটা কাজে লাগাতে সচেষ্ট হই। কারণ গত ২০ বছর অধিকাংশ সময়ই আমি ঘরের বাইরে থেকেছি। নতুন নতুন মানুষ আর খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমার সাক্ষাত ঘটেছে এবং সেটা আসলে নতুন পারিবারিক বন্ধন তৈরি করেছে। তাই নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়েছে। খুবই চমৎকার জীবন কেটেছে এবং উপভোগ করাটা রুখতে পারছে না কিছুই যেহেতু আমি কখনোই ক্রিকেটকে জীবনের সঙ্গে মেশাইনি।'
ওপেন হার্ট সার্জারির পর অনেকে দৌড়াতেও ভয় পান। কারণ জীবনের ঝুঁকিটা কিছুটা হলেও থেকে যায়। সেখানে দিব্যি ক্রিকেট খেলে বেড়াচ্ছেন গেইল। ২০০৫ সালের মেলবোর্নে সেই সার্জারির পর থেকেই নিজেকে ক্রিকেটের ফেরিওয়ালার মতো করে ফেলেছেন গেইল। পৃথিবীর যে প্রান্তেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হয় সেখানেই থাকেন তিনি। মাঠে যে শুধু চার-ছক্কা মেরেই ভক্তদের বিনোদন দেন না, পাশাপাশি নেচে-গেয়ে হাসি-ঠাট্টায়ও সবাকেই আনন্দ দেন।
Comments