দেশের জিডিপিতে ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
দেশের জিডিপিতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং পরের অর্থবছরের জন্য ৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সরকারি অনুমানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা পাওয়া বাংলাদেশ এ অঞ্চলের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি। এ দেশ ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বলে গতকাল (৯ জানুয়ারি) প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য গত বছরের ৩১ জুলাই যে বার্ষিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করে, তাতে জিডিপিতে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মুদ্রাস্ফীতির হার সাড়ে ৫ শতাংশের মাঝে রাখার আশা প্রকাশ করা হয়।
এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয় ৮ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূর্বাভাসের পুরো সময় জুড়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে থাকবে। এতে আরও বলা হয়, দৃঢ় সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পরিকল্পিত সরকারি অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন এবং ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে চলমান সংস্কারের ভিত্তিতে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি বেড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত অর্থবছরে প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার পর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তার হার হ্রাস পাওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। তবে আঞ্চলিক রপ্তানি সামষ্টিকভাবে কমে আসলেও বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য কিছু ঝুঁকির কথাও বলা হয়েছে। এতে জানানো হয় যে কর আহরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সংস্কারকাজে অগ্রগতি না হওয়ার ফলে দেশের রাজস্ব ঘাটতি মারাত্মক হতে পারে। এতে বাজেট ঘাটতি থেকে উত্তরণ আরও চাপে পড়বে।
Comments