দলে থাকলে হয়তো পাকিস্তানে যেতাম: মাশরাফি

পাকিস্তান সফরকে সামনে রেখে কদিন আগে সরকারী আদেশনামায় (জিও) সাক্ষর নেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। সেখানে মুশফিকুর রহিমের মতো তারকা খেলোয়াড় সাক্ষর করেননি। নিরাপত্তা জনিত কারণে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি নন দেশ সেরা এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। মুশফিকের যাওয়ায় থাকলে তাহলে পাকিস্তান সফরে যেতেন ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে অবশ্যই পরিবারের সম্মতি নিয়ে। অন্যথায় নয়।
Mashrafe Mortaza
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পাকিস্তান সফরকে সামনে রেখে কদিন আগে সরকারী আদেশনামায় (জিও) সাক্ষর নেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। সেখানে মুশফিকুর রহিমের মতো তারকা খেলোয়াড় সাক্ষর করেননি। নিরাপত্তা জনিত কারণে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি নন দেশ সেরা এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। মুশফিকের যাওয়ায় থাকলে তাহলে পাকিস্তান সফরে যেতেন ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে অবশ্যই পরিবারের সম্মতি নিয়ে। অন্যথায় নয়।

অবশ্য পাকিস্তান সিরিজের সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এমনকি সফর নিয়ে এখনও রয়েছে শঙ্কা। হয়তো আগামী সোমবারই মিলবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এবার পাকিস্তান সিরিজে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের। শুরু থেকেই এ দফায় বাংলাদেশ শুধু তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে চেয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান চায় পুর্নাঙ্গ সফর। এ নিয়ে আলোচনা চলছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে।

তবে পাকিস্তান সফরই এখন ক্রিকেট পাড়ার প্রধান আলোচনার বিষয়। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও উঠে আসে সে প্রসঙ্গ। সেখানেই জানতে চাওয়া হয়, যদি এখনও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলতেন তাহলে পাকিস্তান যেতেন কি না? এমন প্রশ্নে কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও ইতিবাচক উত্তরই দেন মাশরাফি, 'সত্যিই যদি জানতে চান তাহলে আমি বলবো আমি যেতাম। অবশ্যই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতাম। জানিনা পরিবার কি বলতো। কারণ এ নিয়ে প্রথম আলোচনা হচ্ছে।'

ব্যক্তিগতভাবে মাশরাফি পাকিস্তানে যাওয়ার পক্ষে। তবে সতীর্থদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করছেন অধিনায়ক। প্রত্যেকেরই নিজ নিজ জায়গায় ঠিক আছেন জানিয়ে বললেন, 'যদি শুধু যাওয়ার কথা বলতেন তাহলে যেতাম। আমার পরিবারের সিদ্ধান্তে যদিও অনেক কিছু নির্ভর করে। এর মানে এই না যে যারা যেতে চাচ্ছে না, তারা দোষী। অবশ্যই খেলার থেকে জীবন সবার আগে। ব্যক্তিগত জীবন সবার আগে। যে যেটা সিদ্ধান্ত দেবে তারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গায় ঠিক আছে।'

পাকিস্তানে সবশেষ পুর্নাঙ্গ সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালের মার্চে। লাহোর টেস্টের তৃতীয় দিনে হোটেল থেকে মাঠে যাওয়ার পথে শ্রীলঙ্কা দল বহনকারী বাসে সন্ত্রাসী হামলা হয়। তাতে আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন লঙ্কান ক্রিকেটার। এরপর জরুরী ভিত্তিতে দেশ ছেড়েছিল লঙ্কান দলটি। সেই থেকে নিজদের হোম ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বেছে নিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর টানা ছয় বছর তো কোন ধরণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই হয়নি দেশটিতে।

গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই পাকিস্তানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এসেছে শ্রীলঙ্কা। তাতে প্রথম সারির খেলোয়াড় ছিল ১০ জন। সে সফর শেষে ফের ডিসেম্বরে টেস্ট খেলতে যায় দলটি। তখন থেকেই বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে পিসিবি।

পাকিস্তান সিরিজ দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সূচি অনুযায়ী চলতি মাসেই সফর করার কথা রয়েছে টাইগারদের।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago