কাদেরের দামি ঘড়ির সংগ্রহ রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় কেনো জমা নয়, জানতে চায় টিআইবি

Qader.jpg
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুক থেকে নেওয়া

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দামি ঘড়ির আলোচিত সংগ্রহের ব্যাখ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অপর্যাপ্ত বিবেচনা করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এসব সামগ্রী কেনো যথানিয়মে ও যথাসময়ে রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা দেওয়া হলো না, তা দেশবাসীকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

একইসঙ্গে সংগৃহীত এ ধরনের উপহার কী ঘড়িতেই সীমাবদ্ধ, এরূপ সংগ্রহ কী শুধু সড়ক ও সেতু মন্ত্রীরই, না কী এর সরূপ ও বিস্তৃতি আরও ব্যাপক ও গভীর, তা খতিয়ে দেখে দেশবাসীকে জানানোর জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ (১০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের বিলাসবহুল ঘড়ির সংগ্রহ সম্পর্কে গতকাল সচিবালয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন- তা প্রশ্নবিদ্ধ ও পর্যাপ্ত নয়, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।”

“যেভাবেই তিনি উপহারসমূহ পেয়ে থাকুন না কেনো, ২০১২ সালের জুনে হালনাগাদকৃত তোশাখানা বিধি ১৯৭৪ অনুযায়ী উপহারসমূহ যথাসময়ে তোশাখানায় জমা দেওয়া হলো না কেনো, জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত যেহেতু তিনি নিয়েছেন, সেহেতু সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসরণ করে উপহারপ্রাপ্ত বস্তুর প্রকৃত মূল্য অনুযায়ী অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে কী না? এ ধরনের প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর জানার অধিকার জনগণের রয়েছে”, যোগ করেন তিনি।

সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক অবস্থানে থেকে তিনি কি অন্যদের স্থাপিত দৃষ্টান্ত অনুসরণ করলেন, না কী অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন? এরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া অমূলক না বলে মন্তব্য করেছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে মন্ত্রী বলেছেন যে, ঠিকাদারগণ নির্বাচনের সময় ‘একটা অ্যামাউন্ট’ দিতে চেয়েছিলো, যা তিনি গ্রহণ করেননি। তার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে সেসকল ঠিকাদারদের এ ধরনের অনৈতিকতা ও দুর্নীতির চর্চা প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কাউকে কী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? না কী কমপক্ষে জনস্বার্থে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে?’ জানতে চেয়েছে টিআইবি।

বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা এবং নিজের দলের নেতাকর্মীসহ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না- এই অঙ্গীকারের সঙ্গে কী সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হবে? এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো সৎসাহসের দৃষ্টান্ত সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

তিনি আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপন কার্যক্রমের শুরুর লগ্নে স্মরণ করা অযৌক্তিক হবে না যে, তোশাখানা বিধি জাতির পিতার নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক প্রণীত হয়েছিলো, বর্তমান সরকারের আমলে হালনাগাদ হয়েছে, আর নভেম্বর ২০১৮ সালে তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়েছিলো।”

Comments

The Daily Star  | English

'Appalling' to see civilians treated as 'collateral damage' by Iran, Israel: UN

Iran and Israel traded further air attacks on Thursday as Trump kept the world guessing about whether the US would join Israel's bombardment of Iranian nuclear facilities.

19h ago