শান্তর সেঞ্চুরিতে ঢাকাকে হারিয়ে শীর্ষে খুলনা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আসরের শুরুটা ছিল বিবর্ণ। প্রথম চার ম্যাচে মাত্র ৫ রান। পরে একাদশ থেকে বাদই পড়ে যান তিনি। ফিরে এসে ভালোই খেলছিলেন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারছিলেন না। আসরের শেষ দিনে দারুণ জ্বলে উঠলেন। পঞ্চম বাংলাদেশী খেলোয়াড় হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরির করার কৃতিত্ব দেখালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর তার সেঞ্চুরিতে ঢাকা প্লাটুনকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স।

এর আগে বিপিএলে সেঞ্চুরি করেছেন শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান ও তামিম ইকবাল। এদিন অবশ্য শুরুটা ধীর গতিতেই শুরু করেছিলেন শান্ত। প্রথম ১২ বলে করেছিলেন ১১ রান। এরপর ধীরে ধীরে খোলস ভাঙতে থাকেন তিনি। ২৭ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। এবারের বিপিএলে এটা তৃতীয় সেঞ্চুরি।

এদিন জিতলেই শীর্ষে উঠে গ্রুপ পর্ব শেষ করার হাতছানি ছিল দুই দলেরই। তবে শেষ চার আগেই নিশ্চিত আগেই করেছিল তারা। এমন ম্যাচে চাপ ছিল না কোন দলের। তার প্রতিফলন মাঠে পড়ে ভালো ভাবেই। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে দারুণ ক্রিকেট খেলেছে দুই দলই। আগে ব্যাট করে বেশ বড় সংগ্রহই করেছিল ঢাকা। তবে শেষটা রাঙিয়ে রাখে খুলনা। তার মূল কৃতিত্ব শান্তর।

অবশ্য লক্ষ্য তাড়ায় খুলনার সূচনাটা ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭০ রানের ওপেনিং জুটি পায় দলটি। এরপর মিরাজ আউট হয়ে গেলে রাইলি রুশোর সঙ্গে ৮১ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন শান্ত। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় তারা। এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এ তরুণ। ১১ বল ও ৮ উইকেট হাতে থাকতে জয় পায় দলটি।

শেষ পর্যন্ত ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন শান্ত। ৫৬ বলের ইনিংসে চার ও ছক্কা মেরেছেন সমান ৭টি করে। দারুণ ব্যাটিং করেছেন মিরাজও। তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস।  

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ৩৫ রানেই টপ অর্ডারের তিনটি উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে দলটি। এরপর তরুণ মেহেদী হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ওপেনার মুমিনুল হক। সে চাপ সামলে নেওয়ার পাশাপাশি রানের গতি বাড়ানোর কাজেও নামেন তারা। গড়েন ১৫৩ রানের অসাধারণ এক জুটি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ২০৫ রান তোলে দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯১ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল। ৫৯ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। দারুণ ব্যাটিং করেন মেহেদীও। ৩৫ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬৮ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলেন এ তরুণ। খুলনার পক্ষে ৩৫ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন রবি ফ্র্যাইলিঙ্ক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ২০৫/৪ (তামিম ১, মুমিনুল ৯১, বিজয় ১০, জাকের ১৪, মেহেদী ৬৮*, থিসারা ৬*; আমির ১/৩৫, ফ্র্যাইলিঙ্ক ২/৩৫, শহিদুল ০/৩৭, শফিউল ১/৫০, মিরাজ ০/২২, আমিনুল ০/২১)।

খুলনা টাইগার্স: ১৮.১ ওভারে ২০৭/২ (শান্ত ১১৫*, মিরাজ ৪৫, রুশো ২৩, মুশফিক ১৮*; মেহেদী ১/৩৯, মাশরাফি ০/২৬, ফাহিম ০/৪৭, হাসান ০/৪৩, শাদাব ১/৩২, থিসারা ০/২০)।

ফলাফল: খুলনা টাইগার্স ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল হোসেন শান্ত (খুলনা টাইগার্স)।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago