খামেনির পদত্যাগের দাবিতে তেহরানে বিক্ষোভ, সমর্থনে ট্রাম্পের টুইট

ইউক্রেনীয় উড়োজাহাজ ভূপাতিতের কথা ইরান স্বীকার করে নেওয়ার পর গতকাল (১১ জানুয়ারি) থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন।
তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শত শত বিক্ষোভকারীদের ‘পদত্যাগ চাই, পদত্যাগ করুন’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনীয় উড়োজাহাজ ভূপাতিতের কথা ইরান স্বীকার করে নেওয়ার পর গতকাল (১১ জানুয়ারি) থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন।

ইরানি সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৬ জনের নিহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে পদত্যাগ করার দাবিতে বিক্ষোভ চলছে তেহরানে।

টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শত শত বিক্ষোভকারীদের ‘পদত্যাগ চাই, পদত্যাগ করুন’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

ইরানের ফার্স সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, তেহরানের সমাবেশ থেকে ‘উগ্রবাদী’ স্লোগান দেওয়ার পর বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় ইরান পুলিশ।

বিক্ষোভ-সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ইরান সরকারকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে স্লোগান দেয় এবং উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার ঘটনায় দায়ীদের পদত্যাগ ও বিচারের দাবি জানায়।



যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইংরেজি এবং ফারসি ভাষায় দুটি টুইট করেছেন। টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছেন, “ইরানের সাহসী ও ভুক্তভোগী জনগণকে: আমি রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের শুরু থেকেই আপনাদের পাশে আছি এবং আমার প্রশাসন আপনাদের সমর্থন দিয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আপনাদের প্রতিবাদ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আপনাদের সাহস আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিক্ষোভের ভিডিও প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “আয়াতুল্লাহর শাসন ব্যবস্থার মিথ্যাচার, ব্যর্থতা এবং নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে ইরানি জনগণ তাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে।”

আরও পড়ুন:

তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত গ্রেপ্তার, তিন ঘণ্টা পর মুক্তি

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago