জাতীয় দলে ফেরার আগ্রহের কথা জানালেন ভিলিয়ার্স

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে দলে ফেরাতে চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা মাসখানেক ধরেই জানিয়ে আসছে দেশটির বোর্ড। এবার অবসর ভেঙে ফেরার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ভিলিয়ার্স নিজেই। জাতীয় দলে ফেরার তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ab de villiers
ছবি: এএফপি

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরাতে চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা মাসখানেক ধরেই জানিয়ে আসছে দেশটির বোর্ড। এবার অবসর ভেঙে ফেরার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ভিলিয়ার্স নিজেই। জাতীয় দলে ফেরার তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর বিগ ব্যাশে ব্রিসবেন হিটের হয়ে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৩২ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন ভিলিয়ার্স। এরপর গণমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, ‘এটা (আমার জাতীয় দলে ফেরা) বাস্তবে রূপ নেওয়ার আগে অনেক কিছু ঘটতে হবে। আমি ফিরে আসতে মুখিয়ে আছি।’

গেল ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন ক্রিকেট পরিচালক নির্বাচিত করা হয় গ্রায়েম স্মিথকে। এরপর দলটির কোচ নিযুক্ত হন মার্ক বাউচার। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি বলেছিলেন, ভিলিয়ার্সকে ফেরাতে উদ্যোগ নেবেন। কারণ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা স্কোয়াড নিয়েই যেতে চান তিনি। পরবর্তীতে তার বক্তব্যকে সমর্থন দেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিও।

স্মিথ, বাউচার, ডু প্লেসি- তিনজনই ডি ভিলিয়ার্সের জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ। তাদের আগ্রহের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন ‘মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি’ খ্যাত ব্যাটসম্যান, ‘বাউচার, গ্রায়েম স্মিথ ও ফ্যাফ ডু প্লেসির সঙ্গে আমি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবাই এটাকে বাস্তবায়ন করতে খুবই আগ্রহী।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে আগামী অক্টোবরে। তার আগে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। তাই ফিরতে এখনও অনেক পথ বাকি বলে মনে করছেন ভিলিয়ার্স, ‘এটা এখনও অনেক দূরের পথ এবং অনেক কিছুই ঘটতে পারে। সামনে আইপিএল আসছে। সেখানে আমাকে ফর্মে থাকতে হবে। আমার নাম যেন তারা বিবেচনায় রাখে, সেই চিন্তা আমি করছি এবং আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে শেষ হবে।’

২০১৮ সালের মে মাসে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া ভিলিয়ার্স যোগ করেছেন, ‘এটা কোনো নিশ্চয়তা না। আমি নিজেকে বা অন্য কাউকে হতাশ করতে চাই না। তাই এখন আমি নিরবে-নিভৃতে থাকার চেষ্টা করব এবং যথাসম্ভব সেরা ক্রিকেটটাই খেলার চেষ্টা করব। দেখা যাক, বছরের শেষ দিকে কী ঘটে।’

Comments