পূজা যেদিকে হবে, তার থেকে দূরত্ব রেখে ভোটগ্রহণ: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের জন্য যাতে সরস্বতী পূজায় ব্যাঘাত না ঘটে সেভাবেই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করবেন।

নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের জন্য যাতে সরস্বতী পূজায় ব্যাঘাত না ঘটে সেভাবেই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করবেন।

তিনি বলেন, “পূজা যেদিকে হবে, তার থেকে দূরত্ব রেখে ভোটগ্রহণ করা হবে। যেন নির্বাচনের জন্য পূজার সমস্যা না হয়। পূজার জন্য নির্বাচনের সমস্যা না হয়।”

এ ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই।

নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে সরস্বতী পূজার তিথি থাকায় নির্বাচন পেছানোর দাবিতে আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ।

মো. আলমগীর বলেন, “পূজা হলো ২৯ জানুয়ারি। নির্বাচন হবে ৩০ জানুয়ারি। কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তারপরও কোর্টে একটা মামলা করেছে তারা। সেখানে তারা হেরে আবার আপিল করেছেন। আপিলে রোববার শুনানি হবে। আমারা আমাদের আইনজীবীকে নিয়োগ করেছি। আদালত যে নির্দেশনা দেবে তা আমরা মেনে নেব।”

সচিব বলেন, “কতগুলো স্কুলে পূজা হয়, তার একটি খসড়া তালিকা পাওয়া গেছে। একটা পরিসংখ্যান আমরা নিয়েছি। উত্তর সিটিতে ১৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজা হয়। ১১৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে দক্ষিণে ২৬টি প্রতিষ্ঠানে পূজা হয়।”

একসঙ্গে ভোট হলে বিকল্প চিন্তা আছে কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটাও তথ্য নেওয়া হয়েছে পূজা তারা কোথায় করে। যেমন অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ে কথা বলা হয়েছে-এটা তারা করে তাদের অডিটোরিয়ামে। এটা বেশ বড় স্কুল, তাই সব রুম নির্বাচনের জন্যও লাগবে না। পূজার জন্য তো লাগবেই না। অতএব, পূজা যেদিকে হবে, তার থেকে দূরত্ব থেকে ভোটগ্রহণ করা হবে।”

তিনি বলেন, পূজা কিন্তু ২৯ জানুয়ারি। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকের সঙ্গেই আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন পূজা ২৯ তারিখেই শেষ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, পূজা ৩০ পর্যন্ত একটা সময় আছে। ১১ পর্যন্ত লগ্ন আছে।'

আন্দোলনরত ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা যেন বিভ্রান্তির কবলে না পড়ে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে লেখাপড়ায় মনযোগ দেয়। কারণ এটা দেখার জন্য দেশের অনেক যোগ্য ব্যক্তি আছেন। আদালত রোববার আপিলের রায় দেবেন। কাজেই ছাত্রদের এটা নিয়ে সময় নষ্ট করা উচিত নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago