ইরানের রাডার সিস্টেমে ‘আমেরিকা বিঘ্ন ঘটানোয়’ ইউক্রেনের উড়োজাহাজে আঘাত, তদন্ত চলছে

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সদরদপ্তরের সমন্বয় বিভাগের ডেপুটি কমান্ডার আলি আবদুল্লাহি জানিয়েছেন, ইরানের রাডার সিস্টেমে ‘আমেরিকা বিঘ্ন ঘটানোয়’ ইউক্রেনের উড়োজাহাজে আঘাত করা হয়েছে কী না তা নিয়ে ইরান তদন্ত করছে।
Ali Abdollahi
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সদরদপ্তরের সমন্বয় বিভাগের ডেপুটি কমান্ডার আলি আবদুল্লাহি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সদরদপ্তরের সমন্বয় বিভাগের ডেপুটি কমান্ডার আলি আবদুল্লাহি জানিয়েছেন, ইরানের রাডার সিস্টেমে ‘আমেরিকা বিঘ্ন ঘটানোয়’ ইউক্রেনের উড়োজাহাজে আঘাত করা হয়েছে কী না তা নিয়ে ইরান তদন্ত করছে।

আবদুল্লাহি বলেছেন, “এই অঞ্চলে আমেরিকার দুষ্কর্মের অনেক নজির রয়েছে। ইরানের আকাশসীমা পর্যবেক্ষণ ও তথ্য রেকর্ডের সাইবার সিস্টেমে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।”

“আমেরিকার তৈরি রাডার সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করেনি, এমন আগেও হয়েছে”, গত ১৪ জানুয়ারি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে তিনি এ কথা বলেছেন।

এ ধরণের সম্ভাবনা তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রায় চার ঘণ্টা পর ৮ জানুয়ারি সকালে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করা হয়।

ইরানি সেনাবাহিনী বলেছে, ভুল সংকেত পাওয়ার কারণে এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

আবদুল্লাহি বলেছেন, সেদিন তাদের কাছে এমন তথ্য ছিলো যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে আমেরিকা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি জানিয়েছিলেন, যারা উড়োজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিলো তাদের কমান্ড সেন্টার থেকে বার্তা পেতে সমস্যা হয়েছিলো।

তিনি আরও বলেছেন, “ইসলামী বিপ্লবী গার্ডসের (আইআরজিসি) এয়ারস্পেস ফোর্সের কমান্ডার তখন দেশের বাইরে একটি মিশনে ছিলেন। ঘটনার এক ঘণ্টা পর তাকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনিও তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন।”

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now