ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ মার্কিন সেনা আহত হওয়ার কথা স্বীকার

গত ৮ জানুয়ারি ইরাকে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ মার্কিন সেনা আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। প্রথমদিকে পেন্টাগন জানিয়েছিলো হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
US army
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

গত ৮ জানুয়ারি ইরাকে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ মার্কিন সেনা আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। প্রথমদিকে পেন্টাগন জানিয়েছিলো হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

গতকাল (১৬ জানুয়ারি) ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো মার্কিন সেনা নিহত হয়নি। তবে বেশ কয়েকজনের মধ্যে আঘাতের লক্ষণ দেখা যায় এবং তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, আহত সেনা সদস্যদের চিকিৎসার জন্য জার্মানি ও কুয়েতের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। যখন তাদের দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত মনে করা হবে, তখন আবার ইরাক ফিরিয়ে আনা হবে।

এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আল-আসাদ বিমানঘাঁটির ১১ জন সেনা আহত হয়েছেন। জেনারেল কাশেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতেই ইরান সেই হামলা চালিয়েছিলো। প্রতিরক্ষা বিভাগ হামলার আগেই সেখানকার সেনা সদস্যদের সতর্ক করেছিলো।”

এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, “প্রথমদিকে আঘাতের বিষয়টি জানা যায়নি। ঘটনার কয়েক দিন পর থেকেই তাদের মধ্যে আঘাতের বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। তখন বেশ সতর্কতার সঙ্গেই তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।”

এই সংবাদ প্রকাশের পর মধ্যপ্রাচ্যেভিত্তিক মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেছেন, “হামলার কয়েকদিন পরে সেনাবাহিনী জানতে পারে ১১ জন আহত হয়েছেন। তাদের আটজন জার্মানি ও তিনজন কুয়েতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলাইমানি। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ওই হামলা চালানো হয়। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছিলো পেন্টাগন। কিন্তু, গতকাল ১১ সেনা সদস্যের আহত হওয়ার কথা স্বীকার করলো যুক্তরাষ্ট্র।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago