ডেঙ্গু প্রতিরোধে অস্ট্রেলীয় গবেষকদের যুগান্তকারী উদ্ভাবন

ডেঙ্গু
স্টার ফাইল ছবি

ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিরোধী বিশেষ প্রজাতির মশার উদ্ভাবন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থার গবেষকরা। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

সিএসআইআরও জানিয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত বিশেষ প্রজাতির মশা চার ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারবে।

প্রতিবছর বিশ্বের ৩৯ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন।  আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া না হলে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থার গবেষক প্রসাদ পারাডকর জানিয়েছেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই রোগ মহামারী আকারে ছড়ায়। বর্তমানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ফিলিপাইনে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যকর কৌশল নিয়ে বিশ্বব্যাপী এক ধরনের চাপ রয়েছে। কারণ, বর্তমানে এই রোগের কোনও কার্যকর চিকিৎসা নেই। আর যে ভ্যাকসিনগুলো পাওয়া তা তেমন কার্যকরী নয়।”

“আমরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে এডিস ইজিপটি মশাকে জীনগতভাবে বদলে দিতে পেরেছি। এতে মশার সংক্রমণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।” জানান ওই গবেষক।

তিনি বলেন, “এটিই প্রথম উদ্ভাবিত পদ্ধতি যা চার ধরনের ডেঙ্গু দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

সিএসআইআরও-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছে। এ রোগের জন্য প্রতি বছর ২৭.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়।

এই উদ্ভাবনে সিএসআইআরওকে সহযোগিতা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার সানদিয়াগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওমর আকবরি।

ওমর আকবরি জানান, এই উদ্ভাবন মশাবাহিত অন্যান্য ভাইরাস নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, “আমরা ডেঙ্গু ছাড়াও জিকা, পীত জ্বর এবং চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগগুলো নিয়ে গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি।”

 

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

4h ago