পায়ে লিখে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া তামান্নার স্বপ্নপূরণে বাধা
দুটি হাত নেই, নেই একটি পা। শুধুমাত্র একটি পা নিয়ে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে যাওয়া তামান্নার সামনে এবার সামনে এগুনোর বাধা।
গেল বছর পায়ে লিখে এসএসসিতে জিপিএ- ৫ পাওয়া তামান্না নূরার পড়ালেখা প্রায় বন্ধের পথে। উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ালেখার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে তামান্নার দরিদ্র পরিবার।
তামান্নার বাবা রওশন আলী জানিয়েছেন, যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পড়ালেখার খরচ দেবেন, তারা আর পরে ফিরে দেখেননি।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া জেকে হাইস্কুল থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় তামান্না।
সাফল্যের এই সংবাদে অনেক মানুষ ও প্রতিষ্ঠান শুভেচ্ছা আর ভালবাসা জানিয়ে ছুটে আসেন। তবে প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কাউকে পাশে পাওয়া যায়নি, জানান রওশন আলী।
তামান্নার বাবা রওশন আলী একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তিনি জানান, বিজ্ঞানের তিনটি বিষয়ে তামান্নাকে প্রাইভেট পড়তে হয়। কিন্তু এই শিক্ষকদের নূন্যতম বেতন দেয়ার অবস্থাও আর থাকছে না। সবমিলিয়ে মাসে অন্তত দশ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে মেয়ের লেখাপড়ার পেছনে। তাই কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যদি এই খরচের একটি মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করতেন তাহলে হয়তো মেয়েটি তার মেধার বিকাশ ঘটাতে পারতো।
তামান্না বর্তমানে বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
কলেজের অধ্যক্ষ সামছুর রহমান জানিয়েছেন, তামান্না অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় কলেজে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস বলেন, “আমরা উপজেলার পক্ষ থেকে দুর্যোগ সহনীয় ঘরসহ কিছু সহযোগিতা করেছি। সর্বশেষ ঝিকরগাছার একটি উন্নয়ন সংস্থা ‘জেডিও’ থেকে দেড় হাজার টাকার বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও তা অপ্রতুল। মেয়েটিকে কিভাবে আরও একটু সহযোগিতা করা যায় তা আমাদের বিবেচনায় রয়েছে”।
Comments