পাকিস্তানে মাহমুদউল্লাহদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশও

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিরাপত্তা দিতে পাকিস্তান সরকার ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি থাকছে কমান্ডো-রেঞ্জার্সও। এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বাংলাদেশকে থেকেও মাহমুদউল্লাহদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ব্যবস্থা। রোববার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার কারণে নানা টানাপড়েনের পর পাকিস্তান সফরে যেতে সম্মত হয়েছে বিসিবি। তবে তিন দফায় তিন মাসে তিন বার দেশটিতে যাচ্ছে টাইগাররা। প্রথম দফায় লাহোরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আগামী ২৪ জানুয়ারি। পরের দুটি ম্যাচ ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি। এরজন্য ২৩ জানুয়ারি সকালে লাহোরে পা রাখবে টাইগাররা। তবে এর আগেই বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) বিশেষ প্রতিনিধি দল আগেই পৌঁছাবে। পুরো সিরিজ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে থাকছে তারা।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টাইগারদের অনুশীলন দেখতে আসার ফাঁকে পাপন বললেন, 'আমাদের নিরাপত্তা বলতে কি বুঝি? আমরা বুঝি ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স মানে দেশের সর্বোচ্চ যারা আছে এনএসআই, ডিজিএফআই... আমি যতটুকু জানি যে ওখান থেকে তাদের প্রতিনিধি আগেই চলে যাবে, আমাদের দল যাওয়ার আগে। আবার একজন আমাদের দলের সঙ্গে থাকবে। দুই সংস্থা থেকেই লোক থাকবে, এমনটাই আমাদের জানা আছে। এমনটাই পরিকল্পনা আছে এবং সেটাই কথাবার্তা হয়েছে। আর আমাদের বিসিবি তো থাকবেই।'

এছাড়া ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি থেকেও বিশেষ প্রতিনিধি দল পাকিস্তানে থাকছে বলে জানালেন পাপন, 'আইসিসি তো দল পাঠাচ্ছেই। ওরা এরই মধ্যে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করেছে এবং ওদের সব লোকজন থাকবে। ওরা বলাতেই তো আসলে যাচ্ছি। সবদিক থেকে যেভাবে সিদ্ধান্তটি এসেছে এরপর ওখানে না যাওয়াটা কঠিন।'

তবে পাকিস্তানে যদি কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাবেন বলেও জানালেন বিসিবি প্রধান, 'ওখানে যদি এমন কোনো ঘটনা আল্লাহ না করুক ঘটে বা তেমন অবস্থা হয় তাহলে তো আর আমরা যাবো না। আমাদের যদি কখনো মনে হয় যে ওখানটায় যেমনটা ভেবেছিলাম বা পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে তাহলে আমাদের সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হবে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা মনে করছি এটা একটি নিরাপদ জায়গা এবং আমরা খেলতে যেতে পারি সেখানে।'

উল্লেখ্য, প্রথম দফায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার পর ২৮ জানুয়ারি পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দফায় রাওয়ালপিন্ডিতে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তৃতীয় ধাপে করাচিতে আগামী ৩ এপ্রিল একমাত্র ওয়ানডের পর ৫ এপ্রিল থেকে সেখানেই হবে দ্বিতীয় টেস্ট।

Comments

The Daily Star  | English
US wants Bangladesh trade plan,

Bangladesh to push for tariff cuts in USTR talks in Washington today

Bangladesh has been engaged in negotiations to sign a tariff agreement with the US

27m ago