রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে সমর্থন করবে চীন

রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে সাধ্যমত চেষ্টার কথা ঘোষণা করেছে চীন। মিয়ানমারে চীনা প্রাসিডেন্টের দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেওয়া বিবৃতিতে এ ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ অবলম্বনের কথা বলেছে বেইজিং।
কক্সবাজারের বালুখালী শরণার্থী শিবির। রয়টার্স ফাইল ছবি

রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে সাধ্যমত চেষ্টার কথা ঘোষণা করেছে চীন। মিয়ানমারে চীনা প্রাসিডেন্টের দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেওয়া বিবৃতিতে এ ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ অবলম্বনের কথা বলেছে বেইজিং।

যৌথ বিবৃতিতে চীন বলেছে, রাখাইন রাজ্যে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে যে প্রচেষ্টা মিয়ানমার চালিয়ে যাচ্ছে চীন তাকে সমর্থন করে।

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মিয়ানমারে গিয়ে শি জিনপিং ও অং সান সু চি চীনের বেল্ট এন্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবে ৩৩টি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। গোলোযোগপূর্ণ রাখাইনে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির কাজ এগিয়ে নিতেও সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।

ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী সনাক্ত হওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নৃশংস অভিযান চালানোর পর নতুন করে ৭ লাখ ৪৩ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

প্রত্যাবাসনের আগে নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা, সুরক্ষিত রাখাইন রাজ্য, চলাফেরার স্বাধীনতা, জাতিসত্তার স্বীকৃতি এবং আশ্রয় কেন্দ্রে নয়, নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরে যেতে চাইছে রোহিঙ্গারা।

কিন্তু মিয়ানমার এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের এ ধরণের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে দুই দফা উদ্যোগ নেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা তাদের নিজ দেশে ফিরে যায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka's water crisis: Rapidly falling groundwater level raises fear for freshwater crisis, land subsidence; geoscientists decry lack of scientific governance of water

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

12h ago