ধর্ষণ মামলায় পুলিশের সহায়তাকারীর ওপর হামলা

পাবনায় ধর্ষণ মামলায় পুলিশকে সহযোগিতা করতে গিয়ে উল্টো পুলিশের সামনে আসামির ভাই ও তার সহযোগীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন আব্দুল আলীম (৩৬) নামের এক যুবক।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আলিমের পরিবারের অভিযোগ, গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) হামলার সময় সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ঘটনাস্থলে যায়, তবে তার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আহত আবদুল আলিম, পাবনা সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের ডা. আইনুলের ছেলে। হামলায় তার দুই হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। বর্তমানে তিনি পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলার ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে গতকাল (২০ জানুয়ারি) রাতে একটি মামলা করেছেন আলিমের স্ত্রী রুমা খাতুন। আজ সকালে তাদের মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
তারা হলেন, সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আশররাফ হোসেন (৪৫) ও তোফাজ্জল হোসেন (৪২)।
অভিযোগ আছে, মালিগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম শরিফের ভাই মো. আরিফের নেতৃত্বে আলিমের ওপর হামলা করা হয়। গাছপাড়া বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধর্ষণ মামলার সাক্ষীদের পুলিশের কাছে জবানবন্দি নেয়ার জন্য আলিম নিয়ে এসেছিলেন।
আলিম বলেন, “ধর্ষণ মামলায় পুলিশকে সহযোগিতা করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। সদর থানার ওসি (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম ধর্ষণ মামলায় স্বাক্ষী খুঁজে দিতে আমার সহযোগিতা চেয়েছিলেন। আমি তার কথায় সহযোগিতা করতে কয়েকজন স্বাক্ষীকে ডেকে নিয়ে ওইদিন বসে কথা বলছিলাম। এমন সময় আমার ওপর হামলা হয়। আলীম বলেন, আমার কষ্ট হলো, যার কথায় তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসলাম, তিনি আমাকে রক্ষায় এগিয়ে না এসে চলে যান।“
এ বিষয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মামলার স্বাক্ষীর বিষয়ে কথা শেষ করে চলে আসার পর আলিমের ওপর হামলা হয়। কিছু দূরে যাওয়ার পর লোকজনের দৌড়াদৌড়ি দেখে তাৎক্ষনিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই এবং আশপাশের মোবাইল টিমকে খবর দেই। পরে আহত আলিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয় লোকজন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি ছিল কিনা সেটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) শামীমা আক্তারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
Comments