ল্যাবএইড কর্মী-কনকর্ড শপিংমল মালিক সমিতি সংঘর্ষ, আহত ১২

দোকান নিয়ে বিরোধের জেরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্মী এবং কনকর্ড আর্কেডিয়া শপিং মল মালিক সমিতির সদস্যদের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া ল্যাবএইড হাসপাতালের প্রধান নিরাপত্তাকর্মী মো. নাসির উদ্দিন তাজ ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ল্যাব এইডের জনসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের-এ-খুদা দীপ জানান, কনকর্ড আর্কেডিয়ার তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ৪-৫টি দোকান কিনেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দোকানগুলোতে রঙ করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ তিন শ্রমিককে পাঠায়। কিন্তু মালিক সমিতির সভাপতি সানাউল হক মীর এবং সাধারণ সম্পাদক মোক্তের হোসেইন শ্রমিকদের চড় দেন এবং সেখান থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেন দীপ।
“হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রধানসহ তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সার্বিক অবস্থা দেখতে মার্কেটে যান। সেখানে মার্কেট সমিতির ১৫-২০ জন লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন,” বলেন দীপ।
দীপ দাবি করেন, শ্রমিকদের মারধরের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্মকর্তারা জানতে চাইলে, মার্কেট সমিতির সদস্যরা তাদের আটকে রেখে হামলা চালান।
এসময় সমিতির সভাপতি সানাউল হক পিস্তল বের করে তাজের দিকে গুলি করেন বলে জানান দীপ। তবে অল্পের জন্য তিনি বেঁচে যান।
সমিতির সদস্যরা ইটপাটকেল ছোড়েন এবং হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়ায় ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে, ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসিন উজ জামান বলেন, “আমরা অস্ত্র পরীক্ষা করেছি, সানাউলের অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে”।
মালিক সমিতির নির্বাহী সদস্য ড. শামসুল আলম জানান, মার্কেটে ল্যাবএইড অনেকগুলো দোকান নিলেও কোনো সার্ভিস চার্জ দেয়নি।
সমিতিতে যথাযথ আবেদনের মাধ্যমে দোকান খোলার কথা বলা হলে, তারা সেটি করতে রাজি হয়নি এবং জোর করে দোকান খোলার চেষ্টা করে।
এরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যাতে ছয়জন নিরাপত্তাকর্মী এবং সমিতির সদস্য আহত হন বলে জানান শামসুল আলম।
আত্মরক্ষায় সমিতি সভাপতি গুলি চালান বলে দাবি করেন তিনি।
উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান (রমনা ডিভিশন) বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষের চার জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে আসলেই সেখানে কী ঘটেছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
Comments