যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছে গেছে চীনের ‘করোনাভাইরাস’, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
চীনের ‘রহস্যময় প্রাণঘাতী’ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এখন শুধু চীনের অধিবাসীরাই নন, এর আতঙ্কে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশের নাগরিকরাও।
ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে চীন সরকার। এছাড়াও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশ।
এ ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন নয়জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪০০ জনেরও বেশি। ভাইরাসটি মানুষের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আজ (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
চীনা নববর্ষের প্রাক্কালে এ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। নববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতোমধ্যে চীনে জড়ো হতে শুরু করেছেন লাখো মানুষ। এছাড়াও, আসন্ন চীনা নববর্ষের ছুটিতে সবাই বাড়ি যাবেন, কিংবা ছুটি কাটাতে অন্য কোনো দেশে যাবেন। আর এসব কারণেই ভাইরাসটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাইরাসটি প্রথমে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় উহান প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ পাওয়া গেলেও এটি ইতোমধ্যে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দেশের যে নাগরিকরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সবাই উহান প্রদেশ ভ্রমণ করেছিলেন। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রেও ইতোমধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, চীন থেকে সিয়াটলে আসা এক মার্কিন অধিবাসীকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি ৩০ বছর বয়সী এক পুরুষ। গত ১৫ জানুয়ারি তিনি উহান থেকে সিয়াটলে ফেরেন।
সিডিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ওই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর ভ্রমণ ইতিহাস এবং রোগের লক্ষণ দেখে স্বাস্থ্যবিষয়ক পেশাজীবীরা তাকে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেছেন। পরে গবেষণাগারে পরীক্ষা ও ক্লিনিক্যাল নমুনা থেকে ২০ জানুয়ারি ভাইরাস আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নতুন করোনাভাইরাসটি অনেকটা ‘সার্স’ ভাইরাসের মতোই ভয়ঙ্কর। ‘সার্স’ ভাইরাসের সংক্রমণে ২০০২ ও ২০০৩ সালের দিকে চীন ও হংকংয়ে ৬৫০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিলেন।
চলমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিকভাবে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হবে কী না, তা নির্ধারণ করতে আজ বৈঠকে বসবেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিরা।
Comments