কওমি মাদ্রাসা ও হেফাজতে ইসলামের সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত

সাংবাদিকদের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে সকল কওমি মাদ্রাসা ও হেফাজতে ইসলামের সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব।
বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন সাংবাদিক নেতারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সাংবাদিকেরা জানান, গত ২০ জানুয়ারি এদারায়ে তালিমিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যানারে শহরের কান্দিপাড়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসাসহ জেলার প্রায় দেড় শতাধিক কওমি মাদ্রাসা বন্ধ রেখে ছাত্র, শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেন। এসময় মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষক বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
সাংবাদিকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানববন্ধনের সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ছাপা হয়নি কেন তার কৈফিয়ত চেয়ে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকরা ফোন করেও সাংবাদিকদের শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেন।
প্রতিবাদ সভায় সর্বসম্মতভাবে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসাসহ জেলার সকল কওমি মাদরাসা এবং হেফাজতে ইসলামের সংবাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেইসঙ্গে পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাদেকুর রহমান, আ ফ ম কাউছার এমরান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুন নূর, এটিএন নিউজের পূর্বাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান পীযুষ কান্তি আচার্য, সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান উজ্জ্বল চক্রবর্তী, দেশ রূপান্তরের মনির হোসেন, একুশে টিভির মীর মোহাম্মদ শাহীন ও এসএ টিভির মনিরুজ্জামান পলাশ প্রমুখ।
Comments