গ্রিজমানের জোড়া গোলে শেষ ষোলোয় বার্সেলোনা
বার্সেলোনা দেখে নেওয়ার হুমকিটা আগেই দিয়েছিলেন ইবিজা কোচ পাবলো আলফারো। মাঠে তার স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল। শুরুতে এগিয়েও গিয়েছিল দলটি। কিন্তু পরে ফরাসী আতোঁয়ান গ্রিজমানের দারুণ নৈপুণ্যে শেষ হাসি হাসতে পারেনি দলটি। ২-১ গোলের ব্যবধানের জয়ে কোপা দেল রে'র শেষ ষোলোর টিকেট কাটে কাতালানরা।
তৃতীয় সারির প্রতিপক্ষ হওয়ায় আগেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি, সের্জিও বুসকেতস ও জেরার্দ পিকেদের। স্কোয়াডে থাকলেও জর্দি আলবা ও মার্ক টের স্টেগেন ছিলেন না একাদশে। তারপরও প্রতিপক্ষের মাঠে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বার্সা। ম্যাচের প্রায় ৭৮ শতাংশ বল ছিল তাদের পায়েই।
তবে বল দখলে এগিয়ে থাকেও প্রথমার্ধে বলার মতো কোন আক্রমণই করতে পারেনি বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচে শট নিতে পেড়েছে মাত্র ৮টি। যার ৩টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মাত্র ২২ শতাংশ পায়ে রেখেই ৭টি শট নিতে পারে ইবিজা। এরমধ্যে ২টি শট লক্ষ্যেও ছিল।
এমনকি ম্যাচের নবম মিনিটে বার্সা শিবিরকে অবাক করে দিয়ে এগিয়ে যায় ইবিজা। বাঁ প্রান্ত থেকে ডি-বক্সের মধ্যে ইয়সেপ কাবালে মার্তিনকে কাটব্যাক করেন জাভি পেরেজ। দারুণ এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করতে কোন ভুল করেননি এ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
গোল খেয়েও নিজেদের আক্রমণের ধার বাড়াতে পারেনি বার্সা। উল্টো ১৭তম মিনিটে আরও এক গোল হজম করেছিল দলটি। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে দারুণ এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন ইবিজার ফরোয়ার্ড আনহেল রোদাদো। তবে বল নিয়ন্ত্রণের আগে ক্লেমো লংলেকে ধাক্কা দেওয়া ফাউল হলে সে যাত্রা বেঁচে যায় বার্সা।
এরপর ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ প্রায় করে ফেলেছিল ইবিজা। কিন্তু ভাগ্য বঞ্চিত হয় দলটি। ছোট ডি-বক্সের মধ্যে একবারে ফাঁকায় বল পেয়ে কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন রাই নাসসিমেন্তো। কিন্তু তার শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলেও গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন রোদাদো। তবে তার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক নেতো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ভালো কোন আক্রমণ করতে পারছিল না বার্সা। ৫৯তম মিনিটে ফরোয়ার্ড কার্লোস পেরেজের জায়গায় জর্দি আলবাকে নামান কোচ কিকে সেতিয়েন। তাতে কিছুটা প্রাণ ফিরে আসে বার্সা শিবিরে। আক্রমণের ধার বৃদ্ধি প্রায়। সে ধারায় ৭২তম মিনিটে সমতায় ফেরে দলটি। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সে মধ্যে নিখুঁত এক পাস দেন। আর বল ধরে অসাধারণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন আতোঁয়ান গ্রিজমান।
এরপর ডিফেন্স শক্ত রেখে বার্সাকে প্রায় রুখে দিয়েছিল ইবিজা। কিন্তু ম্যাচের প্রায় শেষ মুহূর্তে জয় সূচক গোল পায় বার্সা। এবারও সেই গ্রিজমান। জর্দি আলবার বাড়ানো বল ধরে দুরূহ কোণ থেকে দারুণ এক কোণাকোণি শটে বল জালে জড়ান এ ফরাসী। ফলে স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।
Comments