করোনা ভাইরাসে ‘হিমশিম’ চীন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬

coronavirus
করোনা ভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষায় মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন চীনের মানুষ। ছবি: রয়টার্স

চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলছে। ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও ‘হিমশিম’ খাচ্ছে চীন সরকার।

এ ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৮০০ জনেরও বেশি। ভাইরাসটি মানুষের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

আজ (২৪ জানুয়ারি) এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।

শঙ্কার বিষয়, ভাইরাসটি এখন আর চীনেই সীমাবদ্ধ নেই। ইতোমধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়। এসব দেশের ভাইরাসে আক্রান্ত নাগরিকদের সবাই সম্প্রতি উহান প্রদেশ ভ্রমণ করেছিলেন।

চীনা নববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটিতে আসতে শুরু করেছে লাখো পর্যটক। এছাড়াও, আসন্ন ছুটিতে সবাই বাড়ি যাবেন, কিংবা ছুটি কাটাতে অন্য দেশে যাবেন। আর এসব কারণেই ভাইরাসটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল উহানের অধিবাসীদের শহর না ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এটি যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য উহান শহরের গণপরিবহন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশের ১০ শহরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশ। এসব দেশের বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।

গত বছরের শেষদিকে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানের একটি পশুপাখির মার্কেটে বিক্রির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে কিছু বন্যপ্রাণী আনা হয়েছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি।

নতুন করোনা ভাইরাসটি অনেকটা ‘সার্স’ ভাইরাসের মতোই ভয়ঙ্কর। ‘সার্স’ ভাইরাসের সংক্রমণে ২০০২ ও ২০০৩ সালে চীন ও হংকংয়ে ৬৫০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
yunus tarique meeting begins in london

Yunus and Tarique meet in London

The highly anticipated meeting at The Dorchester lasted about an hour and a half

2h ago