ওপেনারদের মন্থর ব্যাটিংয়ে দোষ দেখছেন না অধিনায়ক

Naim Shaikh & Tamim Iqbal
ছবি: বিসিবি

পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে বাংলাদেশ নিতে পেরেছিল মাত্র ৩৫ রান। ৩৬ বলের মধ্যে ২২ বলই ডট খেলেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও নাঈম শেখ। ২০ ওভারে ১৪১ রান করা বাংলাদেশ পুরো ইনিংসে খেলে ৪৫টি ডট বল। যার ৩৪টিই খেলেছেন দুই ওপেনার। তবে উইকেট মন্থর হওয়ায় এমন ব্যাটিংয়ে কোনো ভুল খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইশ গজে দেখা গেছে মন্থর ভাব। সেখানে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ করে ১৪১। শোয়েব মালিকের ফিফটিতে ওই রান ৩ বল আগে টপকে ৫ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান।

ম্যাচ শেষে ১০-১৫ রান কম করার আক্ষেপে পুড়েছে বাংলাদেশ। এর পেছনে শুরুর ওই মন্থর ব্যাটিং এসেছে আলোচনায়। দুই ওপেনার ব্যাট করেছেন ১১ ওভার। কিন্তু ৬৬ বল খেলে তারা আনতে পেরেছিলেন কেবল ৭১ রান।

ওপেনারদের এই শুরুতে অবশ্য কোনো সমস্যা দেখছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বরং পরের ব্যাটসম্যানদের ঝড় তুলতে না পারার দায়কে বড় করে দেখছেন তিনি, ‘আমরা পাওয়ার প্লেতে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, এটা ঠিকই ছিল। তামিম আর নাঈম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। যখন বল ধীরে ধীরে পুরনো হচ্ছিল, পিচ একটু অন্য রকম আচরণ করছিল। পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেটে গিয়েই বড় শট খেলা কঠিন ছিল। আমার মনে হয়, আমরা এই জায়গায় পিছিয়ে গেছি। ১০-১৫টা রান এখানে কম হয়েছে। যদি আরেকটু ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম!’

ওপেনারদের এমন শুরুর পর তিনে নেমে লিটন দাস ১৩ বলে ১২ রান করে আউট হন। আফিফ হোসেন ১০ বলে ৯ আর সৌম্য সরকার ৫ বলে ফেরেন ৭ রান করে। তখনই অবশ্যই দ্রুত রান বাড়ানোর চাপ ছিল বেশি। অধিনায়কের কথা অনুযায়ী বল পুরনো আর নরম হওয়ায় চার-ছয় মারা ছিল কঠিন। যদিও অধিনায়ক নিজে ১৪ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থেকে কিছুটা ভদ্রস্থ করেন ইনিংস।

তবে এই রান নিয়েও খেলা শেষ ওভারে নিতে পারায় বোলারদের কৃতিত্ব দেখছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘১৪০ (আসলে ১৪১) করেও যে আমরা শেষ ওভার পর্যন্ত যেতে পেরেছি, এটা বোলারদের চেষ্টার কারণে।’

আল-আমিন হোসেন ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। শফিউল ইসলাম ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন বাংলাদেশের সেরা বোলার।

ফিল্ডাররা আরেকটু ক্ষিপ্র হলে রান আউটের সুযোগ কাজে লাগানো যেত, হাত ফসকে বেরিয়েছে ক্যাচও। এসব জায়গার ঘাটতিও বড় করে দেখছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘বোলাররা ভালো বোলিং করলেও কিছু কিছু জায়গায়, যেমন- লেগ সাইডে কয়েকটা সহজ চার দিয়ে ফেলেছি। এখানে আমরা আরেকটু ভালো করতে পারতাম। আমাদের ফিল্ডিংটা যদি একটু ভালো হতো, হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেও পারত।’

Comments

The Daily Star  | English

JnU students continue blockade for 2nd day

Jagannath Oikyo has declared the university indefinitely closed

6m ago