করোনাভাইরাস: ভারতে ১১ জন ‘পর্যবেক্ষণে’
চীনে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তবে শুধু চীন নয়, বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ পাওয়ায় চীন থেকে আগত ১১ ভারতীয় নাগরিককে পর্যবেক্ষণে রেখেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আজ (২৫ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পর্যবেক্ষণে থাকা ১১ জনের মধ্যে সাতজন কেরালায়, দুইজন মুম্বাইয়ে, একজন বেঙ্গালুরুতে ও একজন হায়দরাবাদে রয়েছেন।
কেরালার কমিউনিকেশন অন করোনাভাইরাস’র অফিসার ইনজার্চ ডা. অমর ফেটেল বলেছেন, “করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ পাওয়ায় গতকাল সাতজনকে কেরালার একটি হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
করোনাভাইরাসের সতর্কতায় ভারতীয় বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
কেরালা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেরালায় প্রথমে ৮০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। পরে ৭৩ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চীনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন। ভাইরাসটি মানুষের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
শঙ্কার বিষয়, চীনে শুরু হলেও ভাইরাসটি এখন আর শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ নেই। ইতোমধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়।
চীনা নববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটিতে আসতে শুরু করেছে লাখো পর্যটক। এছাড়াও, আসন্ন ছুটিতে সবাই বাড়ি যাবেন, কিংবা ছুটি কাটাতে অন্য দেশে যাবেন। আর এসব কারণেই ভাইরাসটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চীনে ‘জরুরি সতর্কতা’ জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আন্তর্জাতিকভাবে এখনও সতর্কতা জারি করেনি সংস্থাটি।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশ। এসব দেশের বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।
নতুন করোনাভাইরাসটি অনেকটা ‘সার্স’ ভাইরাসের মতোই ভয়ঙ্কর। ‘সার্স’ ভাইরাসের সংক্রমণে ২০০২ ও ২০০৩ সালে চীন ও হংকংয়ে ৬৫০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিলেন।
Comments