উহানে ৪৫০ সামরিক মেডিকেল সদস্য মোতায়েন, তৈরি হচ্ছে হাসপাতাল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও হিমশিম খাচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় একটি শহরে সাড়ে চারশো সামরিক মেডিকেল সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এসব সদস্যদের মধ্যে অনেকেরই ‘সার্স’ বা ‘ইবোলা’ ভাইরাস মোকাবিলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
coronavirus
নতুন হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে (বা দিকে)। ভাইরাসের সতর্কতায় মাস্ক পরে আছেন চীনের মেডিকেল কর্মকর্তারা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও হিমশিম খাচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় একটি শহরে সাড়ে চারশো সামরিক মেডিকেল সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এসব সদস্যদের মধ্যে অনেকেরই ‘সার্স’ বা ‘ইবোলা’ ভাইরাস মোকাবিলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এছাড়াও, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য উহানে একটি নতুন হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। দেশটির কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা মতে, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

আজ (২৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সেসব প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল রাতে সামরিক মেডিকেল সদস্যরা উহানে পৌঁছেছেন। যে হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেশি রোগী চিকিৎসাধীন, সেটিতেই তাদের পাঠানো হবে।

এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই উহানের বাসিন্দা। তাই তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই সেখানে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট নতুন হাসপাতালটি তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুতগতিতেই হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চীনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন। ভাইরাসটি মানুষের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

শঙ্কার বিষয়, চীনে শুরু হলেও ভাইরাসটি এখন আর শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ নেই। ইতোমধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়।

চীনা নববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটিতে আসতে শুরু করেছে লাখো পর্যটক। এছাড়াও, আসন্ন ছুটিতে সবাই বাড়ি যাবেন, কিংবা ছুটি কাটাতে অন্য দেশে যাবেন। আর এসব কারণেই ভাইরাসটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চীনে ‘জরুরি সতর্কতা’ জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আন্তর্জাতিকভাবে এখনও সতর্কতা জারি করেনি সংস্থাটি।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশ। এসব দেশের বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।

নতুন করোনাভাইরাসটি অনেকটা ‘সার্স’ ভাইরাসের মতোই ভয়ঙ্কর। ‘সার্স’ ভাইরাসের সংক্রমণে ২০০২ ও ২০০৩ সালে চীন ও হংকংয়ে ৬৫০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago