সৌম্যকে সাতে খেলানোর ব্যাখ্যা দিলেন কোচ

এমনিতে তিনি স্পেশালিষ্ট ওপেনার। ওপেন না করলেও অন্তত টপ অর্ডারই তার আদর্শ জায়গা। অবশ্য সৌম্য সরকারকে এই সিরিজে মিডল অর্ডারেই ব্যবহার করার আভাস দিয়েই রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মিডল অর্ডারও নয়, সৌম্যকে নামানো হলো সাত নম্বরে। এত নিচে নেমে ৫ বলের বেশি খেলার সুযোগ মেলেনি তার। অথচ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান খেলেছেন তিনে। এমন উলট পালটের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বাংলাদেশের কোচ।
শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে পুরো ২০ ওভার খেলে বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান। সাতে নেমে সৌম্য অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ৫ রান করে। ওই রান ২০ বল আগেই টপকে ৯ উইকেটে জেতে পাকিস্তান। আগের দিন সৌম্য সুযোগ পেয়েছিলেন ছয় নম্বরে। তখন ইনিংসের বাকি ছিল কেবল ২০ বল। সৌম্য সেদিন আউট হন ৫ বলে ৭ রান করে।
স্পেশালিষ্ট টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে নিচে নামিয়ে এদিন বোলিং প্রধান অলরাউন্ডার মেহেদীকে নামানো হয় তিন নম্বরে। ১২ বল খেলে ১ ছক্কায় ৯ করে তিনি থামান তার ইনিংস।
ম্যাচ শেষে ব্যাটিং অর্ডারের এমন উলটপালট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। মেহেদীকে উপরে পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা না করলেও সৌম্যকে নিচে নামানোর কারণ জানান তিনি, ‘সৌম্যর অনেক সুযোগ আছে টপ অর্ডারে। সে দুর্দান্ত খেলোয়াড়। আমরা এমন একজনকে খুঁজছি যে শেষ দিকে বল মেরে সীমানা ছাড়া করবে। লিটন যেমন ওপেন করে, সে চারে খেলেছে। সৌম্য ওপেন বা তিনে খেলে, তাকে এবার নিচে নামিয়ে আমরা দেখতে চেয়েছি। শেষের ঝড়ের জন্য তাকে নিচে নামানো হয়েছে। কারণ ছিল এটাই।’
যাকে দিয়ে শেষের ঝড়ের নিরীক্ষা, তার জন্য তো ৫-৭ বলের বেশি বরাদ্দই থাকছে না। তালগোল পাকানো বাংলাদেশেরও তাই জেতার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না।
Comments