করোনাভাইরাস: জেনেটিক কোডের ভিত্তিতে চলছে টিকা তৈরির চেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (এনআইএইচ) টিকা গবেষকদের নতুন করে গড়া দলটি এই সপ্তাহে যখন প্রথম একসঙ্গে হন, তারা ভেবেছিলেন হাতে কিছুটা সময় আছে। তবে তারা ভাবতেই পারেননি এত দ্রুত তাদের কাজে নামতে হবে।
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (এনআইএইচ) টিকা গবেষকদের নতুন করে গড়া দলটি এই সপ্তাহে যখন প্রথম একসঙ্গে হন, তারা ভেবেছিলেন হাতে কিছুটা সময় আছে। তবে তারা ভাবতেই পারেননি এত দ্রুত তাদের কাজে নামতে হবে।

মাত্র তিন মাসের মধ্যে তারা নতুন টিকার সম্ভাব্য পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রথম কাজটি শুরু করবেন। আর সেটি করা হবে চীন ও চীনের বাইরে সার্স সদৃশ যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তা প্রতিরোধে।

এনআইএইচের অ্যালার্জি ও সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যান্থনি ফুসি গবেষক দলের অভিষেক অনুষ্ঠানে বলেন, “অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আপনাদের অভিষেক হচ্ছে”।

জিন সিকোয়েন্সের তিন মাসের মধ্যে মানবদেহে টিকার পরীক্ষামূল ব্যবহার—প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে কম সময়ে এ ধরনের টিকা তৈরির ঘটনা এই প্রথম।

ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত (শনিবার ২৫ জানুয়ারি) বিশ্বে ১৩০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, চীনে মারা গেছে ৪১ জন।

থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত করা হয়েছে।

চীনা বিজ্ঞানীরা দ্রুত নতুন করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স শনাক্ত করতে সক্ষম হন এবং কয়েকদিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ তা প্রকাশ করে। এর ফলে সঠিক পথে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানোর সুযোগ তৈরি হয়।

জেনেটিক কোড থাকায় ভাইরাসটির নমুনা না পেলেও বিজ্ঞানীরা টিকা তৈরির কাজ শুরু করতে পেরেছেন। 

২০০৩ সালে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপেরেটরি সিনড্রম (সার্স) ছড়িয়ে পড়লে জেনেটিক সিকোয়েন্স থেকে শুরু করে মানবদেহে টিকার পরীক্ষা চালাতে ২০ মাস সময় নেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। এ সময়ের মধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসে।

এবার এই করোনাভাইরাসের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সারা বিশ্বের গবেষকেরা টিকা, চিকিৎসা এবং অন্যান্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা পরীক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank to rescue problem banks

The Bangladesh Bank is set to rescue problem banks including some Shariah-based banks controlled by S Alam Group by managing liquidity or merging a few.

4h ago