করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা ৫৬

প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে চীনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
coronavirus
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষায় মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন চীনের অধিবাসীরা। ছবি: রয়টার্স

প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে চীনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।

ভাইরাসটির সংক্রমণে চীনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০০০ মানুষ। ভাইরাসটি একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

আজ (২৬ জানুয়ারি) এমন তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।

শঙ্কার বিষয়, ভাইরাসটি এখন আর চীনে সীমাবদ্ধ নেই। ইতোমধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায়।

চীনা নববর্ষের অনুষ্ঠানে দেশটিতে যোগ দিতে এসেছে লাখো পর্যটক। এছাড়াও, দেশটিতে শুরু হওয়া নববর্ষের ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন, আবার অনেকে ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন অন্য দেশে। আর সেসব কারণেই ভাইরাসটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চীনে ‘জরুরি সতর্কতা’ জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আন্তর্জাতিকভাবে এখনও সতর্কতা জারি করেনি সংস্থাটি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল উহানের অধিবাসীদের শহর না ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের ১৫ শহরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

চীনের মধ্যাঞ্চলীয় একটি শহরে সাড়ে চারশো সামরিক মেডিকেল সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এসব সদস্যদের মধ্যে অনেকেরই ‘সার্স’ বা ‘ইবোলা’ ভাইরাস মোকাবিলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য উহানে একটি নতুন হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশ। এসব দেশের বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।

গত বছরের শেষদিকে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানের একটি পশুপাখির মার্কেটে বিক্রির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে কিছু বন্যপ্রাণী আনা হয়েছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি।

নতুন করোনাভাইরাসটি অনেকটা ‘সার্স’ ভাইরাসের মতোই ভয়ঙ্কর। ‘সার্স’ ভাইরাসের সংক্রমণে ২০০২ ও ২০০৩ সালে চীন ও হংকংয়ে ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago