ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যথেষ্ট সংকল্প দেখতে পাননি ম্যাকেঞ্জি

পাকিস্তানের বিশেষ পরিস্থিতিতে সিরিজ খেলতে গিয়ে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, খুইয়েছে সিরিজ। দুই ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদেরর খেলার ধরণ জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের। নিরাপত্তার কারণে এই সফরে না যাওয়া ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জিও বাংলাদেশের খেলা দেখে বেশ হতাশ। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের মধ্যে যথেষ্ট সংকল্প দেখতে পাননি তিনি।
neil mackenzie
ছবি: ফিরোজ আহমেদ
পাকিস্তানের বিশেষ পরিস্থিতিতে সিরিজ খেলতে গিয়ে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, খুইয়েছে সিরিজ। দুই ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদেরর খেলার ধরণ জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের। নিরাপত্তার কারণে এই সফরে না যাওয়া ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জিও বাংলাদেশের  খেলা দেখে বেশ হতাশ। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের মধ্যে যথেষ্ট সংকল্প দেখতে পাননি তিনি।
 
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৪১ রান করে ৫ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে উইকেট তুলনামূলক ভালো থাকলেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল আরও মলিন। মাত্র ১৩৬ রান করে ৯ উইকেটে স্রেফ উড়ে যায় পাকিস্তানিদের কাছে। 
 
১২০ বলের খেলায় দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ডট বল খেলেছে ৪৫ ও ৪৭টি। দুই ম্যাচেই কাজে লাগানো যায়নি পাওয়ার প্লে। দেখে যায়নি স্ট্রাইক বদলে স্মার্ট ক্রিকেটের ছিটেফোঁটা। 
 
পাকিস্তান না যাওয়ায় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট স্কোয়াডের সদস্যদের নিয়ে অনুশীলন চালাচ্ছেন ম্যাকেঞ্জি। রোববার অনুশীলনের ফাঁকে দুই টি-টোয়েন্টির খতিয়ান কাঁটাছেড়া করতে গিয়ে বিস্তর গোলমাল খুঁজে পেয়েছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ,  ‘স্কোয়াডে এখন অনেক অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়। মানিয়ে নিতে সময় লাগতে পারে।  তবু খুবই হতাশাজনক। আমরা ভালো শুরু করতে না পেরে ভুগেছি সেদিন। যা আমাকে পীড়া দিয়েছে তা হলো তাড়নার ঘাটতি। গত দুই বছর আমরা স্ট্রাইক বদল নিয়ে অনেক কঠোর শ্রম দিয়েছি। বোলারদের চাপে ফেলে রান বের করার জন্য কোথায় দাঁড়াব, কোথায় বল করতে বাধ্য করব এসব নিয়ে খেটেছি। কিন্তু আমি দুই ম্যাচেই এমন কিছু করার চেষ্টাই দেখতে পাইনি।’
 
প্রথম ম্যাচে দুই ওপেনারই খেলেন অর্ধেকের বেশি বল। কিন্তু তাদের রান তোলার গতি ছিল বেশ মন্থর। পরের ম্যাচে নাঈম শেখ শুরুতে ফেরার পর লম্বা সময় ক্রিজে ছিলেন তামিম ইকবাল। আরেক প্রান্তের ব্যাটসম্যানরাও ডট বলে চাপ বাড়িয়ে ফিরেছেন চট জলধি। তামিম ফিফটি পেলেও ঝড় তুলতে পারেননি। 
 
ম্যাকেঞ্জির মনে হচ্ছে কারো কারো জন্য দলে জায়গা পাকা করার চাপ হয়ত ছিল। কিন্তু এসব চাপ সরিয়েই আরেকটি ঝাঁজ দেখানো দরকার ছিল তাদের,  ‘আমাদের আরেকটু ক্ষুধার্ত হওয়া দরকার ছিল। ভয়ডরহীন খেলার যে মন্ত্র রাসেল (ডমিঙ্গো) এবং সবাই পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করছে সেটার দরকার ছিল। কিছু নতুন ছেলে এসেছে, কেউ কেউ ফিরেছে দলে। দলে এসে পারফর্ম করে টিকে থাকার একটা চাপ তাদের আছে যা বোধগম্য। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত কোচরা তাদের পেছনে আছে। তাদের উচিত স্বাভাবিক খেলাটা খেলা।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago