‘বেশিরভাগ সময় পরের ম্যাচের নিশ্চয়তা পেলেই ছেলেরা খুশি’
দলের কাজে লাগুক বা না লাগুক, এক ম্যাচে জুতসই রান করে পরের ম্যাচের জন্য একাদশে থাকার নিশ্চয়তা পেলেই সন্তুষ্ট থাকেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দুনিয়ার সেরাদের কাতারে যেতে হলে এই মানসিকতা থেকে বের হওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি।
পাকিস্তানে গিয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই বাজে ব্যাটিংয়ে সিরিজ খুইয়ে ফেলার পর প্রবল সমালোচনা হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। প্রথম ম্যাচে ১৪১ করে বাংলাদেশ হারে ৫ উইকেটে। পরের ম্যাচে ১৩৬ করে হার ৯ উইকেটে।
প্রথম ম্যাচে দুই ওপেনারই পেয়েছিলেন রান। তাদের ৭১ রানের ওপেনিং জুটি অবশ্য এসেছিল ৬৬ বল খেলে। ৩৪ বলে ৩৯ করেন তামিম ইকবাল। নাঈম শেখ করেন ৪১ বলে ৪৩ রান। পরের ম্যাচে নাঈম কোন রান না করলেও তামিম করেন ৫৩ বলে ৬৫ রান। বাকিদের ব্যর্থতার মাঝে ইনিংস টানেন তিনিই। তবে এসব ইনিংস কোনটাই বাংলাদেশকে জেতার মতো পূঁজি এনে দিতে পারেনি।
নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান সফরে না যাওয়া ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি রোববার মিরপুরে দলের ব্যাটসম্যানদের ঘাটতি ব্যাখ্যা করেছেন। টেস্ট স্কোয়াডের ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুশীলনের ফাঁকে ব্যাটিং কোচ জানান, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অনেকেই অল্পতেই হয়ে যান খুশি, ‘ধারাবাহিকতার জন্য আরও ক্ষুধার্ত হতে হবে। বেশিরভাগ সময় পরের ম্যাচের নিশ্চয়তা পেলেই তারা খুশি হয়ে যায়। আপনি যদি ৪০ বা ৬০ করেই সন্তুষ্ট হন, তাহলে এটা ভুল চিন্তা। আমি চাই তারা যেন দুনিয়ার সেরা হতে পারে অথবা বাংলাদেশেরও সেরা হতে পারে। আমরা এটাই গেঁথে দিতে চাইছি। আমরা এগুচ্ছি কিন্তু এটা (ম্যাচে প্রয়োগ করতে না পারা) একটু হতাশাজনক।’
বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বের নেওয়ার পর থেকে অনেক জায়গায় উন্নতির ছাপ দেখছেন ম্যাকেঞ্জি। তবে সব উন্নতিই কেবল গড়পড়তা, একটা নির্দিষ্ট গণ্ডিতেই আটকা। ম্যাকেঞ্জি চান ব্যাটসম্যানরা নিজের জন্য স্বার্থপর না হয়ে দলকে জেতানোর জন্য স্বার্থপর হবেন, ‘উন্নতি আছে। অনেক খেলোয়াড়ই যথেষ্ট ভালো। কিন্তু কেউ আউট অব দ্য বক্স হতে পারছে না। কোন সন্দেহ নেই বাংলাদেশের প্রচুর প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। কিন্তু আমাদের দরকার ধারাবাহিকতা। আমরা এমন কাউকে চাই যে খেলা জেতানোর জন্য স্বার্থপর হতে পারে, নিজের জন্য স্বার্থপর নয়। আপনি ৮০ করলে কেন একশো করবেন না, একশো করলে সেটা কেন ১৪০ পর্যন্ত টানতে পারবে না।’
Comments