বানরের খামচিতে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন অজি ব্যাটসম্যান

দলের মেডিক্যাল স্টাফ এবং ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের পরিবারের সঙ্গে পরামর্শের পর সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়াতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
Jake Fraser-McGurk
ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া টুইটার

যুব বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা বেড়িয়েছিলেন ঘুরতে। ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির বাইরে একটু হালকা মেজাজে সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে তারা গিয়েছিলেন একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে। কিন্তু সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। একটি বানর খামচি দেয় দলটির ব্যাটসম্যান জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের মুখে। বানরের নখের সেই আঁচড় তাকে ছিটকে দিয়েছে বিশ্বকাপের আসর থেকেই।

বানরের খামচি দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কয়েকদিন আগে। গেল বৃহস্পতিবার কিম্বার্লিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অজিদের জয়ের পর। তবে দলের মেডিক্যাল স্টাফ এবং ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের পরিবারের সঙ্গে পরামর্শের পর সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়াতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

১৭ বছর বয়সী ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের চোট গুরুতর নয়। আগের দিন পচেফস্ট্রুমে সুপার লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তবে দলের হারের দিনে এই ডানহাতি ওপেনার তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটিও বল মোকাবিলা না করেই রানআউট হয়ে যান তিনি। এরপর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তাকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত এসেছে। কারণ চিকিৎসকরা ও তার পরিবার মনে করছে, ওই ঘটনার সাত দিনের মধ্যে তার সতর্কতামূলক চিকিৎসা প্রয়োজন।

শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে গেলেও স্থান নির্ধারণী দুটি ম্যাচ বাকি আছে অস্ট্রেলিয়ার যুবাদের। সেখানে খেলা হচ্ছে না ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের। তাই স্বাভাবিকভাবেই হতাশ তিনি, ‘টুর্নামেন্ট চলাকালীন সতীর্থদের এভাবে ছেড়ে যাওয়াটা মোটেও ভালো লাগার বিষয় নয়। তবে আমি মনে করি, শেষ দুটি ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণ করার সামর্থ্য আমাদের দলের আছে।’

নিজের উচিত শিক্ষা হয়েছে উল্লেখ করে দ্রুত মাঠে ফেরার আশাবাদও জানিয়েছেন ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, ‘আমি মনে করি, প্রাণীদের সংরক্ষিত জায়গার খুব কাছে যাওয়ার ফল আমাকে ভোগ করতে হচ্ছে। আমি শিক্ষা পেয়েছি। চিকিৎসা শেষ করে যতটা দ্রুত সম্ভব মাঠে ফিরতে আমি মুখিয়ে আছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago