‘রিয়াদ তো পারলে দেখি একেবারে শেষে নামে’

পাকিস্তান সফরে ছিলেন না মুশফিকুর রহিম, মিডল অর্ডারে তাই তৈরি হয় সংকট। সেই সংকট সামাল দেওয়ার জন্য যিনি সবচেয়ে আদর্শ, সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রথম ম্যাচে চারে নামলেও পরের ম্যাচে নামেন ছয়ে। দুই ম্যাচেই তিনি ক্রিজে আসার পর বাকি ছিল শেষ পাঁচ ওভারের সময়। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান অধিনায়কের ব্যাটিং পজিশন নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে কিছুটা লড়াই করলেও পরের ম্যাচে স্রেফ উড়ে যায় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে দলের ব্যাটিং অর্ডার দেখা গেছে দুই রকম।
ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে খেলেন নাঈম শেখ। প্রথম ম্যাচে ১১ ওভার টিকে তারা আনেন ৭১ রান। পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে আনেন মাত্র ৩৫ রান। বাংলাদেশ করে ১৪১। সে ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ চারে নামলেও ব্যাটিং পেয়েছিলেন ১৫তম ওভারে, করেছিলেন ১৪ বলে অপরাজিত ১৯। ৩ উইকেটে হারা সে ম্যাচে ৪৫টি ডট বল খেলার মাশুল গুনতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
পরের ম্যাচেও টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। তামিম- নাঈমের ওপেনিং জুটি দ্বিতীয় ওভারেই হয় বিচ্ছিন্ন। কিন্তু তিনে এবার লিটন দাসের বদলে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পাওয়ার প্লের পুরোটা সময় টিকে ১২ বলে ৯ করে ফেরেন তিনি। এরপর লিটন দাস ও আফিফ হোসেনের পরে ছয় নম্বরে ক্রিজে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তখন খেলার জন্য বাকি ছিল কেবল ৩২ বল। মাহমুদউল্লাহ নিজেও অবশ্য শেষের ঝড় আনতে পারেননি। ১২ বলে থামেন ১২ রান করে। বাংলাদেশ মাত্র ১৩৬ রান করে হারে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
বুধবার নিজের বেক্সিমকো কার্যালয়ে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সমালোচনার সময় আলাদা করে অধিনায়কের প্রসঙ্গ আনেন নাজমুল, ‘ লিটন, তামিম, নাঈমের মধ্যে দুজন ওপেন করবে একজন তিনে খেলবে। এটা হলো নিশ্চিত ব্যাপার। এমনকি চারে যেহেতু মুশফিক নাই, রিয়াদ আসতে পারে। কারণ রিয়াদের খুব শখ উপরে খেলার। কিন্তু এই সিরিজে গিয়ে দেখি রিয়াদ পারলে তো একেবারে শেষে নামে।’
কেন এমন উলটপালট খেলোয়াড়দের ডেকে জানতেও চেয়েছিলেন তিনি। কোচের সঙ্গেও এই নিয়ে কথা বলার কথা জানান বিসিবি সভাপতি, ‘আমি এই জিনিসগুলাই জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্যাপার কি। সব আপনাদের বলা যাবে না। কোচের সঙ্গেও বসতে হবে। একটা জিনিস স্পষ্ট ১৩০-৪০ করে কারো সঙ্গেই জেতা সম্ভব না। এটা আমার মনে হয় সামথিং ভেরি সিরিয়াস ইস্যু।’
Comments