সিলেটে ‘আল্লাহর দল’র ৯ জন গ্রেপ্তার
সিলেটের আরামবাগ এলাকা থেকে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দল’র ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরীর আরামবাগের ১৭ নম্বর বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বগুড়ার আব্দুল মান্নান আখন্দের ছেলে মানিক আখন্দ, নোয়াখালীর আবুল কালামের ছেলে জহির উদ্দিন বাবর, সিলেটের জকিগঞ্জের মখদ্দস আলীর ছেলে রাসেল আহম্মদ, একই এলাকার মুক্তাদির মিয়ার ছেলে কামাল আহমদ, কুমিল্লারা আব্দুল আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ, সুনামগঞ্জের আব্দুল আজিজের ছেলে তমি উদ্দিন সুমন, রাজশাহীর কায়েম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, সিলেটের টুকেরবাজারের আব্দুস সালামের ছেলে জুয়েল আহম্মেদ, রাজশাহীর কায়েম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও সিলেটের গোলাপগঞ্জের আলাউদ্দিনের ছেলে স্বপন আহম্মেদ।
অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া সবাই জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দল’র সক্রিয় সদস্য এবং এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কুড়িগ্রামের মতিন মেহেদীর অনুসারী। সরকার এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
নয়জনের মধ্যে চারজনই সিলেটের। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে এসেছে। পুলিশ দীর্ঘদিন তাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। কতদিন ধরে তারা সিলেটে অবস্থান করছে, তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তারা সিলেটে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য জড়ো হয়েছিল। তবে সংগঠনটি এখনো শক্তি সঞ্চয় করছে। তাদের কী পরিকল্পনা ছিল, কতদিন ধরে এখানে আছে, কতটুকু সক্ষমতা অর্জন করেছিল, এসব জানার জন্য তদন্ত অব্যাহত রাখা হয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা, কিছু মোবাইল ফোন ও জাকাত সংগ্রহের রেজিস্ট্রার উদ্ধার করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন, জনসাধারণের মাঝে উগ্র ধর্মীয় মতাদর্শ প্রচার ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য নাশকতার বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল তারা। এসবের জেরেই ঢাকা থেকে আসা অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের একটি দল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই নয়জনের বিরুদ্ধে সিলেটের শাহপরাণ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিলেটে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Comments