ফেদেরারকে উড়িয়ে ফাইনালে জোকোভিচ
শুরুর ছন্দ ধরে রাখতে পারলেন না রজার ফেদেরার। দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন নোভাক জোকোভিচ। সুইজারল্যান্ডের কিংবদন্তির বিপক্ষে সরাসরি সেটে জিতে সার্বিয়ান তারকা পা রাখলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সেমিফাইনালে রড লেভার অ্যারেনায় রেকর্ড ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ফেদেরারকে ৭-৬ (৭-১), ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন প্রতিযোগিতার দুই নম্বর বাছাই জোকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন জয় তুলে নিয়েছেন দুই ঘণ্টা ১৮ মিনিটে।
প্রথম সেটে এক পর্যায়ে ৪-১ গেমে এগিয়ে গিয়েছিলেন ৩৮ বছর বয়সী ফেদেরার। পঞ্চম গেমেও ৪০-০ পয়েন্টে লিড নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরই পা হড়কাতে শুরু করেন ফেদেরার। আর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান জোকোভিচ। ওই সেট টাইব্রেকারে জেতার পর পরের দুই সেটে ফেদেরারকে দাঁড়াতেই দেননি জোকার খ্যাত তারকা।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে এই নিয়ে চতুর্থবার লড়াইয়ে নেমেছিলেন ফেদেরার ও জোকোভিচ। আগের তিনবারের মতো এবারও শেষ হাসি হেসেছেন ৩২ বছর বয়সী জোকোভিচ। এর আগে ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৬ সালেও ফেদেরারকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি।
এদিন শতভাগ ফিট ছিলেন না ফেদেরার। খেলা চলাকালে তাকে শুশ্রূষা নিতে হয়েছে। গ্রোয়েন ইনজুরির কারণে টেনিস স্যান্ডগ্রেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও ভুগতে হয়েছিল তাকে। তবে সেকারণে জোকোভিচের জয়কে খাটো করে দেখার উপায় নেই। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ফেদেরারের সঙ্গে এটি ছিল তার ৫০তম দ্বৈরথ। এবারের জয়ে সুইস তারকার সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। জোকোভিচের ২৭ জয়ের বিপরীতে ফেদেরারের জয় ২৩টি।
ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ বলেছেন, ‘তিনি (ফেদেরার) যদি ব্রেক পয়েন্টগুলো (ষষ্ঠ গেমে) পেতেন, তাহলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত। তিনি ভালোভাবে শুরু করেছিলেন। আমি কিছুটা নড়বড়ে ছিলাম। আজকে (বৃহস্পতিবার) খেলতে আসার জন্য তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তিনি নিশ্চিতভাবেই ব্যথা অনুভব করছিলেন এবং মুভমেন্টের দিক থেকে সেরা রূপে ছিলেন না।’
১৬টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জোকোভিচ আগামী রবিবার মেলবোর্ন পার্কে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন ডমিনিক টিম ও আলেকজান্ডার জেভরেভের মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ীর। এই দুজন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রড লেভার অ্যারেনায় পরস্পরকে মোকাবিলা করবেন আগামীকাল শুক্রবার।
Comments