তামিমের আগ্রাসী ডাবল সেঞ্চুরি, ঝলমলে সেঞ্চুরি মুমিনুলের
ঝলমলে সেঞ্চুরিতে দিনের প্রথম ভাগ রাঙিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে সেই সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে নিয়ে গেছেন তিনি। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অধিনায়ক মুমিনুল হকও পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। দুজনের ব্যাটে চড়ে বিশাল সংগ্রহের পথে রয়েছে পূর্বাঞ্চল।
শুভাগত হোমকে চার মেরে ২৪২ বলে অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছান বাঁহাতি তামিম। তখন আরেক প্রান্তে ৯৯ রান নিয়ে খেলছিলেন মুমিনুল। এক রান নিয়ে তামিম স্ট্রাইক বদল করার পরপর মুমিনুলও তুলে নেন সেঞ্চুরি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই দুজনের নৈপুণ্যে ২ উইকেটে ৩৯৫ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে পূর্বাঞ্চল। ২৮১ বলে ৩০ চারে ২২২ করে অপরাজিত আছেন তামিম। ১৯৪ বলে ১১১ রান করে মুমিনুল ফেরার পর ক্রিজে আসা ইয়াসির আলি খেলছেন ৪৮ বলে ২২ রান নিয়ে। হাতে ৮ উইকেট রেখে পূর্বাঞ্চলের লিড ১৮২ রানের।
দিনভর মধ্যাঞ্চলের বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন তামিম-মুমিনুল। সকালের প্রথম ভাগ ভেসেছে তামিমের ম্যাটে। পরে তাতে যোগ দিয়ে ১৮০ বলে ১১ চারে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল। তামিম তার স্ট্রোক ঝলমলে ডাবল সেঞ্চুরিতে যেতে মারেন ২৯ চার।
আগের দিনের ০ রান নিয়ে খেলতে নামা তামিম আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষকে নিয়ে পার করেন দিনের প্রথম ঘন্টা। ৫০ বলে ২৬ করে শুভাগতর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন পিনাক। তামিম ছিলেন ওয়ানডে মেজাজে। একের পর এক চারে রান বাড়ান তিনি।
শুভাগতর অফ স্পিনের বিপক্ষে কিছুটা সময় নিলেও মোস্তাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধদের তামিম খেলেছেন অনায়াসে। কাউকেই আক্রমণে থিতু হতে দেননি। সেঞ্চুরিতে যেতে তামিম মারেন ১৪ চার। পরের সেঞ্চুরি পেতে বল সীমানাছাড়া করেন আরও ১৫ বার।
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল শুরুতে ছিলেন তামিমকে সঙ্গ দেওয়ার ভূমিকায়। থিতু হয়ে পরে তিনি নিজেও দেখান কর্তৃত্ব। মধ্যাঞ্চলের বোলারদের নির্বিষ করে দুজনে হয়ে যান অবিচল। সাবলীল ব্যাটিংয়ে আগের দিনের কঠিন উইকেটকে ভীষণ সহজ করে তোলেন তারা।
দ্বিতীয় উইকেটে ২৯৬ রানের বিশাল জুটির পর মুগ্ধকে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুমিনুল। তবে তামিমকে টলাতে পারেনি মধ্যাঞ্চলের বোলাররা।
Comments