আজ দুপুর তিনটায় ৩০ ইয়াবা চোরাকারবারির আত্মসমর্পণ

কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফে আরও ৩০ জন ইয়াবা চোরাকারবারি আত্মসমর্পণ করতে পারেন।
ইয়াবা চোরাকারবারিদের আত্মসমর্পণের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: স্টার

কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফে আরও ৩০ জন ইয়াবা চোরাকারবারি আত্মসমর্পণ করতে পারেন।

আজ দুপুর ৩টায় টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে তাদের আত্মসমর্পণ করার কথা রয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পুলিশ।

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি, প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফার এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটি গত ২৯ জানুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। অনিবার্য কারণে তা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআাইজি খন্দকার গোলাম ফারুক উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন এএসপি।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক ইয়াবা চোরাকারবারিদের স্বজন এবং টেকনাফ থানা পুলিশের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রায় ৩০ জন ইয়াবা চোরাকারবারি ইতোমধ্যে পুলিশের হাতে ধরা দিয়েছেন। তারা সবাই বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।

এদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন- আবদুর রাজ্জাক, মো. রেদোয়ান, আবদুল আমিন আবুল, মো. কালা, রেজাউল করিম, মো. শরীফ, মোহাম্মদ শফিক, ফরিদ আলম, নূর কামাল ও আবদুর রহিম। তাদের বাড়ি টেকনাফ উপজেলায়।

সূত্র আরও জানায়, যাদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে, তারা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সময় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। প্রায় সাত মাস আগে আত্মসমর্পণ করেছেন, এমন ব্যক্তিও পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তাদের সবার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। ইয়াবা চোরাকারবারিরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ হাইস্কুল মাঠে ১০২ জন চিহ্নিত ইয়াবা চোরাকারবারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের মধ্যে ১০১ জন বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আর কারাগারেই একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ইয়াবা চোরাকারবারিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশের মাদকবিরোধী নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago