অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিনভর আনন্দ ভ্রমণে উপজেলা কর্মকর্তারা
নির্ধারিত অফিস সময় তখনও শুরু হয়নি। তবে এরইমধ্যে সব সরকারি কর্মকর্তা একসঙ্গে হাজির!
তবে তারা অফিস করেননি।
নবীনগর অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গতকাল রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হবিগঞ্জের চরে যান।
সকাল ৯টার দিকে নবীনগর লঞ্চঘাট থেকে যাওয়ার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম জানান, “মাছের ঘের পরিদর্শনে কাছে কোথাও যাচ্ছেন। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ফিরে আসবেন”।
তবে মাছের ঘের পরিদর্শনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এসি (ল্যান্ড), পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ অন্তত ১০০ জন অংশ নেন!
মাছের ঘের পরিদর্শনে এতো মানুষ কেন-- জানতে চাইলে দ্য ডেইলি স্টারকে ইউএনও জানান, “সবাই যাতে যেতে পারে তাই লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে”।
তবে কোনো মাছের ঘের নয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মচারি জানান, চরেই খাওয়া-দাওয়াসহ আনন্দ আয়োজন করা হয়। গানের জন্য মোট সাতজনকে নেয়া হয়েছে। সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারাই সেখানে আছেন। ফিরতে রাত হবে।
আরেক কর্মচারী জানান, চরেই রান্না করে খাওয়া হয়। খেলাধুলা, গানবাজনার আয়োজনও ছিল।
দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান ফোন ধরলেও পরে কথা বলবেন বলে জানান।
মাত্র একজন কর্মচারী ছিলেন ইউএনও অফিসে। সারাদিন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা না থাকায় তালাবদ্ধ থাকে অফিস।
এ বিষয়ে কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। কর্মদিবসে এমন ভ্রমণ করা যায় কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আগে আমি বিষয়টি জেনে নিই”।
মোবাইল ফোনে কথা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল সরকারি কর্মকর্তাদের ভ্রমণে যাওয়ার বিষয়টি অবগত হয়েছেন বলে জানান। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
Comments