রোহিঙ্গা শিবিরে গুলিবিদ্ধ ১৩, গুরুতর আহত ৪

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩ জন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
rohingya_camp-1_2.jpg
কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের দৃশ্য। এএফপি ফাইল ছবি

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩ জন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ নয় জনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

গতরাত সাড়ে আটটার দিকে নয়াপাড়া শিবিরের ‘ই’ ও ‘সি’ ব্লক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

রোহিঙ্গা ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাতে জকির ও আমান উল্লাহর নেতৃত্বে একদল ডাকাত ‘ই’ ব্লকের কাপড় ব্যবসায়ী নুর নবীর কাছে চাঁদা দাবি করতে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় সাধারণ রোহিঙ্গারা ডাকাত দলকে ঘেরাও করে ফেলে। একপর্যায়ে জকির গ্রুপের প্রতিপক্ষ সালমান শাহ গ্রুপ ও খাইরুল গ্রুপ সাধারণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জকির গ্রুপ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এসময় তারা ৪০-৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে অন্তত ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হন।

আহতদের নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নয় জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকি চার জন গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশের টহলদল ঘটনাস্থলে যায়।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সশস্ত্র  ডাকাতদের আটকের জন্য পুলিশ ও র‍্যাবের অভিযান চলছে।

গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছেন- ‘ই’ ব্লকের শওকত (১৯), মো. হাসান (২৮), জিয়াদুল (১২), ‘সি’ ব্লকের বশির আহমেদ (৩২), মো. হোসেন (২৩), ফারুক (৮), জুবায়ের (১৮), ‘বি’ ব্লকের আবুল হোসেন (২২) এবং ক্যাম্প-২৬ এ-১ এর আব্দুল গনী (২৪), আবদুল আজীজ (২৩)।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago