ফেনসিডিল বিক্রেতা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের হাতে আটক ফেনসিডিল বিক্রেতা রুবেল মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
BCL leader arrested.jpg
আটক রুবেল মিয়া ও আউয়াল। ছবি: স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের হাতে আটক ফেনসিডিল বিক্রেতা রুবেল মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রুবেল জেলার বিজয়নগর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের এন্তাজ আলী ওরফে ইন্তু মিয়ার ছেলে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “রুবেল ছাড়াও উথারিয়াপাড়া গ্রামের আরেক মাদক ব্যবসায়ী আউয়ালকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন র‌্যাব সদস্যরা। গতকাল বিকেলে দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”

এর আগে, রোববার রাতে আখাউড়া পৌর এলাকার আজমপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন সড়ক থেকে রুবেলকে আটক করে পুলিশ।

আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “ওইদিন রাতে আজমপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামার পর রুবেলের দেহ তল্লাশি করে স্কচটেপে মোড়ানো ২৫ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।”

ওসি রসুল আহমেদ বলেন, “রুবেল বডি ফিটিং অবস্থায় ফেনসিডিল নিয়ে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে আজমপুর রেল স্টেশনে যাচ্ছিলো।”

জানা গেছে, রুবেল নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাগনের বন্ধু এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের এপিএসের শ্যালক পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। ফেনসিডিলসহ তার আটকের খবরে এলাকাবাসী ও তার বন্ধুরা অবাক হয়েছেন।

স্থানীয় সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “রুবেলের বড় ভাই ইয়াকুব মিয়াও মাদক মামলার আসামি। এছাড়াও, তাদের একাধিক স্বজন মাদক ব্যবসা ও পাচারের সঙ্গে জড়িত। বেশি লাভের আশায় গত কয়েক বছর ধরে রুবেল শরীরে ফেনসিডিল বহন করে ট্রেনযোগে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করতেন।”

Comments

The Daily Star  | English

Tax collection falls short of IMF loan condition

government falls Tk 17,946 crore short of the revenue last fiscal year as one of IMF's $4.7 billion loan conditions

6h ago