সিলেটে অতিথি পাখি শিকার চলছে অবাধে

ছবি: শেখ নাসির

অতিথি পাখি শিকার ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ হলেও, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি।

সিলেটের বিভিন্ন হাওরে অবাধে পাখি শিকার হলেও, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণত লুভা, লামাইল, শিলাকুঁড়ি ও পাথর খায়রি হাওর এলাকা থেকে শিকারিরা পাখি সংগ্রহ করে। ফাঁদ পেতে রাতের আঁধারে পাখি শিকার করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা যায় অতিথি পাখি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুর, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, দয়ার বাজার, খাগাইলসহ সিলেট শহরেও বিক্রি করা হচ্ছে দেশি ও অতিথি পাখি।

ছবি: শেখ নাসির

কয়েকজন শিকারি ও বিক্রেতা জানান, বিক্রির জন্য সাধারণত বালিহাঁস, বক, ঘুঘু, পানকৌড়ি ও শামুকখেকো পাখি শিকার করা হয়। একজন শিকারি প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জোড়া পাখি বিক্রি করে।

ছবি: শেখ নাসির

প্রতিজোড়া বাঁলিহাস ৮০০ টাকা, বক ৩০০ টাকা, ঘুঘু ৩০০ টাকা, পানকৌড়ি ৫০০ টাকা, শামুকখেকো ২০০০ টাকা করে বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম এ বিষয়ে বলেন, জেলার অনেক জায়গাতেই অবাধে দেশি এবং অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, শিকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English

7 colleges to continue operating under UGC until new university formed

Prof AKM Elias, principal of Dhaka College, to be appointed as the administrator

7h ago