নির্বাচনী ফলাফলের সব তথ্য প্রকাশের দাবি তাবিথ-ইশরাকের

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন।
গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। ছবি: স্টার

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন।

আজ সকালে রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।

তাবিথ অভিযোগ করেন, নির্বাচনের দিন পরিকল্পিতভাবে ভোটারদের আসতে দেয়নি ক্ষমতাসীনরা। আওয়ামী লীগের জ্যৈষ্ঠ নেতাদের নির্দেশে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। নেতাকর্মীদের দিয়ে কৃত্রিম লাইন তৈরি করে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “ফলাফল প্রকাশ পেতে ভোর ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা রাত ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের মেয়র ঘোষণা করেন। এতেই প্রমাণিত হয় বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়।”

“পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় যদি কেউ কারাগারে যায়, তবে কেন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় হামলাকারীরা আটক হবে না?” প্রশ্ন রাখেন তাবিথ।

বক্তব্যের শুরুতেই ভোটারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ইশরাক হোসেন। সেই সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করেন তিনি।

ইশরাক বলেন, “এই নির্বাচনে ভোটারদের সঙ্গে অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে। ইভিএমে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অনেক মেশিনে ধানের শীষ প্রতীক রাখাই হয়নি। বুথগুলোতে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীরা উপস্থিত থেকে মনগড়া ও বানোয়াট ফলাফল ঘোষণা করেছে।”

তিনি বলেন, “আমরা হতাশ হয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা ছিলো, ক্ষমতাসীনরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তা না করে তারা ভোট কারচুপি করেছে।”

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago