২০২০ সালে রোনালদোকে হাতছানি দিচ্ছে যেসব রেকর্ড

৩৫- এ পা দিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ১৯৮৪ সালে এই দিনে (৫ ফেব্রুয়ারি) পর্তুগালের মাদেইরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সময়ের তো বটেই, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। এই বয়সে ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেন অধিকাংশ ফুটবলার, অথচ রোনালদো খেলে যাচ্ছেন একই ঢঙে, এগিয়ে যাচ্ছেন অদম্য গতিতে।
ক্লাব ও জাতীয় দল পর্তুগালের জার্সিতে রোনালদোর অর্জনের শেষ নেই। বহু রেকর্ডের মালিক তিনি। এই ফরোয়ার্ড চলতি বছরে আরও বেশ কিছু কীর্তি গড়ে নিজেকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে পারেন। রোনালদোর ৩৫তম জন্মদিনে সেসব তথ্যই তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
১. পর্তুগালের হয়ে ২০১৬ উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০১৯ উয়েফা নেশন্স কাপ জেতা রোনালদোর আন্তর্জাতিক গোল ৯৯টি। আর মাত্র একবার লক্ষ্যভেদ করলেই বিশ্বের দ্বিতীয় ও ইউরোপের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলের জার্সিতে গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করবেন তিনি।
২. আন্তর্জাতিক মঞ্চে সবচেয়ে বেশি গোল করা ফুটবলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন রোনালদো। ১০৯ গোল নিয়ে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছেন ২০০৬ সালে অবসরে যাওয়া ইরানের আলি দাইয়ি। চলতি বছরের জুন-জুলাইতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ থাকায় অনেকগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে রোনালদোর, সুযোগ থাকছে দাইয়িকে টপকে যাওয়ার।
৩. ২৫ গোল নিয়ে সিরি আ’র ২০১৯-২০ মৌসুমের গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন লাৎসিওর চিরো ইমমোবিলে। ১৯ ম্যাচে ১৯ গোল নিয়ে তার ঠিক পরেই আছেন রোনালদো। তিনি যদি সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে এবারের লিগ শেষ করতে পারেন, তবেই হয়ে যাবে অনন্য এক কীর্তি। ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা ও ইতালিয়ান সিরি আ’র সর্বোচ্চ গোলদাতা হবেন রোনালদো।
৪. ২০১৭-১৮ মৌসুমে সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে নিজের সবশেষ ও সবমিলিয়ে পঞ্চম উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছিলেন রোনালদো। এ বছর জুভেন্টাসকে প্রতিযোগিতাটির চ্যাম্পিয়ন বানাতে পারলে, ফ্রান্সিস্কো গেন্তোর গড়া ৫৪ বছরের পুরনো রেকর্ডে ভাগ বসাবেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ছয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন।
৫. গেল বছর লিওনেল মেসি রেকর্ড ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জেতেন। এর আগে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পাঁচবার জিতে আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন রোনালদো। চলতি বছর ব্যালন ডি’অর বগলদাবা করে আবার অর্জনের চূড়ায় জায়গা ভাগাভাগি করার হাতছানি রয়েছে সিআর সেভেনের সামনে।
Comments