কক্সবাজারে কিশোরী ধর্ষণের বিচারের দাবি
কক্সবাজারের চকরিয়ার একটি মিশনারি চত্বরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক কিশোরী ধর্ষণের বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকার কয়েকটি সংগঠন।
মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ ও হিল উইম্যানস ফাউন্ডেশন।
সংগঠনগুলোর নেতারা পার্বত্য নারীদের প্রতি সব নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশেষ সেল গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
আজ সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
৩১ জানুয়ারি রাতে চকরিয়ার হেব্রন মিশনারি চত্বরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। আওয়ামী লীগের বান্দরবান-লামা উপজেলা শাখার একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অনুষ্ঠানস্থল থেকে পানি খাওয়ার জন্য পাশের একটি টিউবওয়েলে গেলে সেখানে ধর্ষণের শিকার হয় সেই শিক্ষার্থী। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এমন নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেও এক নারী বা শিশু নিরাপদ নয়- মন্তব্য করে মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরা বলেন, “প্রতি মাসেই আমাদের এমন ঘটনায় রাজপথে দাঁড়াতে হয়। বেশিরভাগ ঘটনায় দেখা যায়, ধর্ষক রাজনৈতিক ক্ষমতাবলয়ের অংশ। তাই তারা পার পেয়ে যায়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, “১৯৭১ সালের আগে পাকিস্তানিদের দ্বারা বাঙালিরা যেভাবে জাতিগত, সামরিক ও ভাষাগত বৈষম্যের শিকার হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ একই অবস্থা। ধর্ষণের সঙ্গে যৌনতার কোনো যোগাযোগ নেই। এটি একটি যুদ্ধকৌশল, সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগ করানোর কৌশল।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ঈশানী চক্রবর্তী বলেন, “ধর্ষণ আর দুর্নীতি আমাদের দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। মানবাধিকার কর্মীরা অনেক সময় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে কথা বলেন। কিন্তু, মহামারির সময়ে এমন বক্তব্যের কোনো স্থান নেই। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই হতে হবে।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিচালক জনা গোস্বামী, কাপেং ফাউন্ডেশনের খোকন সুইটেন মুর্মু, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মনিরা ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন, টিএসএফ, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতারা।
এদিকে, ওই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
Comments