১০ বছরে ব্যাংকের কাছে সরকারের নিট ঋণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা

২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, ১০ বছরে ব্যাংকের কাছে সরকারের নিট ঋণ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
জাতীয় সংসদের অধিবেশনের ফাইল ছবি

২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, ১০ বছরে কেন্দ্রীয় ও তফসিলি ব্যাংকের কাছে সরকারের নিট ঋণ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

জাতীয় সংসদে আজ প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাশীন দলের এমপি মমতা হেনার প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।

সংসদকে মন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে সরকার কেন্দ্রীয় ও তফসিলি ব্যংক থেকে ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়। এই সময়ে ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

মমতা হেনার আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪টি উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার সঙ্গে ২ হাজার ৬২১ কোটি টাকার ৩৪টি ঋণ ও অনুদান চুক্তি সই হয়েছে।

বিএনপি এমপি হারুনুর রশিদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ/সহায়তার পরিমাণ ২৩ হাজার ২৩ কোটি টাকা।

ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই   

গণফোরামের সংসদ সদস্য মুকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, পুঁজিবাজারে কিছু তারল্য সংকট থাকলেও ব্যাংকিং খাতে কোনো তারল্য সংকট নেই।

তফসিলি ব্যাংকগুলোতে আবশ্যকীয় নগদ জমা(সিআরআর)সংরক্ষণ ও আবশ্যকীয়  সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণের পরও অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। এ তারল্যের পরিমাণ ২০১৯ সালের জানুয়ারির ৬৭ হাজার ৬০১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ১ লাখ ৬ হাজার ১০১ টাকা হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংকিং খাতে ঋণ আদায়ের হার কম হওয়া এবং প্রাইভেট সেক্টরে ঋণের সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত হারে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে না। এ কারণে পুঁজিবাজারে কিছুটা তারল্য সংকট রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

সংরক্ষিত আসনের এমপি আবিদা আঞ্জুমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ব্যক্তিপর্যায়ে করদাতার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৬ জন।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

10m ago