পরিনত চিন্তায় আসর মাত জয়ের

ছোট শরীরে যেন বড় মাথা। বয়স কম কিন্তু পরিপক্ব মস্তিষ্ক মাহমুদুল হাসান জয়ের। যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে করেছেন সেঞ্চুরি। সেই সেঞ্চুরিতেই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান জানালেন লম্বা সময় ব্যাট করার চিন্তা ছিল তার, রান তাড়ার হিসেব নিকেশ মাথায় গুজেই সেরেছেন কাজ, পড়েছেন পরিস্থিতি, বুঝেছেন উইকেটের ভাষা। নিউজিল্যান্ড সফরে আউট হয়েছিলেন ৯৯ রানে। এবার দলের জয়ের সঙ্গে গুছিয়েছেন সেই আক্ষেপও।
দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রমে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশের যুবারা। ফাইনালে উঠার ম্যাচে কিউইদের দেওয়া ২১২ রানের লক্ষ্য ৩৫ বল আগেই পেরিয়ে জেতে বাংলাদেশ।
দলকে ম্যাচ জিতিতে ১২৭ বলে ১৩ চারে ১০০ রান করে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। কেবল রানের সংখ্যা দিয়েই বোঝানো যাচ্ছে না তার ব্যাটিংয়ের মাহাত্ম। ২৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন, তিনি আসতেই পড়ে যায় আরেক উইকেট। লক্ষ্য খুব বেশি না হলেও শুরুতে দুই উইকেট খুইয়ে দল ছিল বিপাকে। দরকার ছিল ভরসা যোগানো ব্যাটিং।
তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৬৮ রানের জুটিতে শুরু তার। হৃদয় ফেরার পর শাহাদাত হোসেন দিপুকে পাশে নিয়ে ১০২ রানের আরেক জুটিতে ম্যাচ করেন বগলদাবাই। ৯৬ থেকে চার মেরে পৌঁছান তিন অঙ্কে। পর পরই হয়ে যান আউট। তবে ততক্ষণে বাংলাদেশ একদম জয়ের কিনারে। জয়ের ব্যাটিং দেখে প্রশংসা ঝরেছে ধারাভাষ্য দিতে থাকা ইয়ান বিশপ, টম মুডিদের মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের।
ম্যাচ শেষে এই উঠতি তারকা জানালেন, তার উপর ভার ছিল লম্বা সময় খেলার, ‘আমি চেষ্টা করেছি প্রান্ত বদল করে খেলতে। যে পরিস্থিতিই থাকুক, দলে আমার ভূমিকা ছিল দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করা, শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা। প্রান্ত বদল করে খেলে যাওয়া।’
‘যখন দল দ্রুত দুই উইকেট হারায়, তখন আমার চেষ্টা ছিল প্রান্ত বদল করে খেলা। সবশেষ নিউ জিল্যান্ড সিরিজে আমি ৯৯ রানে আউট হয়েছিলাম। কিন্তু সেই ভুল এই ম্যাচে করতে চাইনি। এক-দুই রান করে নিয়েছি।’
Comments