মার্চ থেকেই অ্যাম্বুলেন্স টোলমুক্ত

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে রাস্তা, ফেরি এবং সেতুতে টোল দিতে হবে না রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে।
Ambulance
ছবি: সংগৃহীত

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে রাস্তা, ফেরি এবং সেতুতে টোল দিতে হবে না রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে।

গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের (আরটিএইচডি) সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম দ্য ডেইল স্টারকে জানিয়েছেন, আগামী ১ মার্চ থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে।

তিনি আরও জানান, “মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নিয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য টোল মওকুফের শর্ত হলো সেবা প্রদানকারীরা অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া থেকে ওই পরিমাণ টাকা কম রাখা হবে।

গত বছর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পরে ১০ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায় আরটিএইচডি। ওই চিঠিতে অ্যাম্বুলেন্সকে টোল আদায়ের আওতার বাইরে রাখারা সম্মতি চাওয়া হয়। নভেম্বরে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।

ডিসেম্বরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়ে এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য, অর্থ ও স্বরাষ্ট্র সচিব এবং আরএইচডির প্রধান প্রকৌশলীকে গতকালের বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা বা নির্দেশিকা নেই। তাই এই উদ্যোগ থেকে জনগণ প্রত্যাশিত সুবিধা পাবে কী না তা এখনও অনিশ্চিত।

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবাদাতারা এই টোল মওকুফকে কীভাবে সামঞ্জস্য করবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) ইতোমধ্যে মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টস এবং সিভিল সার্জনদের এ বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে।

ডিজিএইচএসের পরিচালক (হাসপাতাল) আমিনুল হাসান গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, “আমরা ইতোমধ্যে বেসরকারি চিকিৎসা সেবাদাতাদের এই উদ্যোগের সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করতে সব সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি।”

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের টোল ছাড়ের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, “বেশিরভাগ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পরিচালনা করে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে আমাদের সিভিল সার্জনরা তাদের নির্দেশনা দেবেন।”

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মতে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট নিবন্ধিত অ্যাম্বুলেন্স ছিলো ৬ হাজার ৪২৪টি।

তবে, অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সংস্থা ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড বলছে, বর্তমানে সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালু রয়েছে। অর্থাৎ অনেক অ্যাম্বুলেন্স নিবন্ধন ছাড়াই চলছে।

সরকারের নতুন উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড উপদেষ্ট শরিফুল আলম মেহেদী বলেন, “অবশেষে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা খুব খুশি। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো।”

তিনি অবশ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে সব ধরণের অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ভাড়ার গাইডলাইন ঠিক করা হোক। যাতে জনগণ এই উদ্যোগের পুরো সুবিধা পায়।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) অধীনে সেতু এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) পরিচালিত ফেরিগুলো টোলমুক্ত করারও দাবি করেন সরিফুল আলম মেহেদী।

বর্তমানে, আরএইচডি তত্ত্বাবধানে ৬২টি সেতু এবং ৩৯টি ফেরি টার্মিনাল রয়েছে। এছাড়াও, বিআইডব্লিউটিসি পাঁচটি ফেরি টার্মিনাল এবং বিবিএ দুটি সেতু পরিচালনা করে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago