বিপিএলে ফিক্সিং চেষ্টায় সেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের কারাদণ্ড

Nasir Jamshed
ফাইল ছবি (এএফপি)

স্পট ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পেয়ে তাকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বিপিএল ও পিএসএলে ঘুষ লেনাদেনার দায়ে সেই পাকিস্তানি ক্রিকেটার নাসির জামশেদকে এবার কারাদণ্ডও দিয়েছে ইংল্যান্ডের এক আদালত। ইংল্যান্ডে গ্রেপ্তার থাকা নাসিরের সঙ্গে ফিক্সিং পরিকল্পনায় সাজা পেয়েছেন ইউসুফ আনোয়ার ও মোহাম্মদ ইজাজ নামের আরও দুজন।

ইংল্যান্ডের আদালতের রায়ে  নাসির ১৭ মাস, ইউসুফ ৪০ মাস ও ইজাজের ৩০ মাসের কারাদণ্ডের সিদ্ধান্ত এসেছে।

ইংল্যান্ডের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) স্পট ফিক্সিং নিয়ে তদন্ত করার সময় গ্রেপ্তার করে এই তিনজনকে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে  জুয়াড়ি বেশে পুলিশের এক সদস্য ফাঁদে ফেলে আটক করেছিলেন তাদের। এরপর চলা বিচারিক প্রক্রিয়ার পরে এল রায়।

৩৩ বছর বয়েসী নাসিরকে আগেই ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও। ২০১৬ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে এসেছিলেন নাসির। ওই আসরেই তিনি ফিক্সিংয়ের চেষ্টা চালান। পরে পিএসএলেও করেন ফিক্সিং।

এসব ফিক্সিংয়ের মূল পরিকল্পক পাকিস্তানি ব্রিটিশ নাগরিক ইউসুফ। দীর্ঘদিন থেকে এই কাজে যুক্ত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেন তিনি। ছদ্মবেশি ব্রিটিশ পুলিশ কর্মকর্তার কাছে এই জুয়াড়ি বিপিএলেও তার হয়ে ছয়জন ক্রিকেটার কাজ করেন বলে জানিয়েছিলেন। তাদের একজন ছিলেন জামশেদ। এক ম্যাচে নির্দিষ্ট ওভারে টানা দুই বল ডট দেওয়ার ডিলে রাজি হন তিনি। পরে তা করতে না পারলেও পরের ম্যাচেও তা করার অফার থাকে। কিন্তু বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে তাকে রাখা হয়নি একাদশে। পরের বছর পিএসএলে অবশ্য পেশোয়ার-ইসলামাবাদ ম্যাচে সফলভাবে স্পট ফিক্সিং করেন জামশেদ। 

বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জামশেদ ছিলেন বেশ সম্ভাবনাময়। পাকিস্তানের হয়ে ২ টেস্ট, ৪৮ ওয়ানডে আর ১৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। কিন্তু ফিক্সিংয়ের ভয়াল থাবা গ্রাস করে নেয় তার ক্যারিয়ার। অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়ে ক্রমেই তিনি হারিয়ে যান মূল কক্ষপথ থেকে।

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

14h ago