বাকিদের বিবর্ণ দশায় চাপ রাখলেন কেবল রাহি

Abu jayed

উইকেটে পেসারদের জন্য আছে রসদ। তবে তা কাজে লাগাতে জানতে হবে তো। ভালো জায়গায় অবিরাম বল ফেলতে পারলে মিলত সাফল্য, অন্তত রান আটকে চাপ বাড়ানো যেত। কিন্তু আবু জায়েদ রাহি ছাড়া বাংলাদেশের বাকি পেসারদের মধ্যে দেখা মিলল না সেই স্কিলের। বাংলাদেশের অল্প রানের জবাব দিতে নামা পাকিস্তানকে তাই ফেলা যাচ্ছে না বড় কোন চাপে। 

শনিবার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে  ২ উইকেটে   ৯৫   তুলে লাঞ্চে গেছে পাকিস্তান। ৫৯ রান নিয়ে খেলছেন শান মাসুদ, সঙ্গী বাবর আজম এখনো রানের খাতা খুলেননি। পাকিস্তানের দুটি উইকেটই নিয়েছেন রাহি। 

আগের দিন বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট হওয়ার পর আলোক স্বল্পতায় আর তারা ব্যাট করতে নামেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন আবু জায়েদ রাহি। তার বলে কোন রান করার আগেই ফিরে যান আবিদ আলি। রাহির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে আবিদ ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। 

২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর আর কোন চাপ নয়। ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক আজহার আলিকে নিয়ে ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন ওপেনার শান মাসুদ। তাকে ওয়ানডে মেজাজে খেলার সুযোগ করে দিতে ইবাদত হোসেন আর রুবেল হোসেনের অবদানও কম নয়। 

বাংলাদেশের এই দুই পেসারই প্রচুর আলগা বল দিয়েছেন। রাহির তৈরি করা চাপ তাদের বাজে বোলিংয়ে উবে যায় দ্রুতই। ২০১৮ সালের পর টেস্টে ফেরা রুবেল সাদা পোশাকে নিজের নির্বিষ বোলিং রাখেন জারি। ইবাদত আর রুবেল দুজনেই ওভারপ্রতি খরচ করেছেন পাঁচের বেশি রান। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা অনায়াসে থিতু হয়েছেন তাদের বলে। 

সঙ্গী পেসারদের নখদন্তহীন অবস্থায় পরের স্পেলে ফিরে আজহার আলিকেও ফেরান রাহি। এক স্লিপ রেখে অফ স্টাম্পের বাইরের চ্যানেলে পরিকল্পনামাফিক বল করার সুফল পান তিনি। ড্রাইভ করতে গিয়ে আজহারের ক্যাচ গেছে ওই স্লিপেই। দ্বিতীয় উইকেটে ভাঙে শান মাসুদ আর আজহারের ৯১ রানের জুটি। ৫৯ বলে ৩৪ করে আজহার আউটের সময় লাঞ্চের বাকি ছিল মিনিট পনেরো। বাবর আজম  এসে বাকি সময় পার করেন সহজেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

(দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৩৩

পাকিস্তান  প্রথম ইনিংস:  ২৭ ওভারে ৯৫/২ (শান ব্যাটিং ৫৯*  , আবিদ ০, আজহার ৩৪, বাবর ব্যাটিং ০* ;  ইবাদত ০/৩৫, জায়েদ ২/২২, রুবেল ০/২৫, তাইজুল ০/১১)

 

Comments

The Daily Star  | English

Mob violence now alarmingly routine

Rights groups say the state's failure to act swiftly and decisively has to some extent emboldened mobs and contributed to a climate where vigilante justice is becoming commonplace.

8h ago