মেলায় দ্য ডেইলি স্টারের দুই কর্মীর দুই বই

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে সাংবাদিক আল মাসুমের ছড়ার বই ‘আপত্তি সত্ত্বেও’ এবং মো. তাজদিন হাসান ও রাফিদ চৌধুরীর ‘দ্য ট্রানজিশন: হাউ টু মুভ ফ্রম ফিয়ার জোন টু গ্রোথ জোন’।
ছবি: সংগৃহীত

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে সাংবাদিক আল মাসুমের ছড়ার বই ‘আপত্তি সত্ত্বেও’ এবং মো. তাজদিন হাসান ও রাফিদ চৌধুরীর ‘দ্য ট্রানজিশন: হাউ টু মুভ ফ্রম ফিয়ার জোন টু গ্রোথ জোন’।

গতকাল সন্ধ্যায় ‘আপত্তি সত্ত্বেও’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম।

তিনি বলেন, “আমি আনন্দিত আমার একজন সহকর্মী ছড়ার বই লিখেছেন। কারণ আমরা সাংবাদিকরা সাধারণত বই লিখি না। আর লিখলেও সেটা রাজনীতির ওপর লিখি। আমরা গর্বিত আল মাসুমের কাজে। আমি সম্পাদক হিসেবে লেখকের কাজের সফলতা কামনা করছি এবং তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

‘আপত্তি সত্ত্বেও’ বইয়ের লেখক আল মাসুম দেশের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। তিনি প্রতিবেদন লেখার পাশাপাশি সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিত মন্তব্য প্রতিবেদন এবং কলাম লিখে আসছেন।

বইটির বিষয়ে লেখক বলেন, “বইয়ের প্রতিটি ছড়া এই সমাজের প্রতিচ্ছবি। নাগরিকের ব্যথা, বেদনা, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আলোকিত হয়েছে ‘আপত্তি সত্ত্বেও’ বইয়ের মধ্য দিয়ে। একটি সময়কে ধারণ করেছে এসব ছড়া। সমাজের অন্যায়-অসঙ্গতি নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ও শ্লেষাত্মক লেখা কখনও পাঠককে হাসাবে, কখনও গভীর চিন্তার খোরাক জোগাবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লেখক ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন এবং সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা।

বইটি পাওয়া যাবে আগামী প্রকাশনীর স্টলে।

‘দ্য ট্রানজিশন: হাউ টু মুভ ফ্রম ফিয়ার জোন টু গ্রোথ জোন’ বইটি প্রকাশ করেছে দ্য ডেইলি স্টার বুকস। বইটির দ্বিতীয় অংশ লিখেছেন দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব মার্কেটিং মো. তাজদিন হাসান। তিনি প্রত্যাশা করেন, বইটি থেকে তরুণ প্রজন্ম শিক্ষা ও কর্মজীবন সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা পাবেন।

তিনি বলেন, “এই বইটি করপোরেট জগতে আমার ১৪ বছরের পথচলার অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা। নতুন যারা কর্মজীবন শুরু করছেন, তারা নিজেদের তৈরি করার জন্য খুব বেশি সময় পান না। আবার করপোরেট জগতে আসার আগে এক ধরনের ভয় কাজ করে। যে কারণে আমার এই প্রয়াস। এটি একটি গাইড বইয়ের চেয়ে অনেক বেশি সহায়ক হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।”

“একটু দিক-নির্দেশনা পেলে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা তাদের শিক্ষাজীবনে অনেক ভালো করতে পারেন। সেই সঙ্গে তাদের জন্য সঠিক পেশা বেছে নিতে পারেন”, বলে মত দেন তাজদিন।

মো. তাজদিন হাসান এর আগে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, শেভরন, রবি আজিয়াটা এবং ডিএইচএল এক্সপ্রেসে কাজ করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

6h ago