শুভাগতর সেঞ্চুরিতে জয় দেখছে মধ্যাঞ্চল

এক প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া চললেও অপর প্রান্ত আগলে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন শুভাগত হোম। তাতেই দলের লিড হলো বড়। উত্তরাঞ্চলকে চতুর্থ ইনিংসে ৩২৯ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় মধ্যাঞ্চল। আর তৃতীয় দিনেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) প্রথম জয় দেখছে দলটি। এখনও ১৭৪ রানে পিছিয়ে আছে উত্তরাঞ্চল।
ফাইল ছবি

এক প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া চললেও অপর প্রান্ত আগলে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন শুভাগত হোম। তাতেই দলের লিড হলো বড়। উত্তরাঞ্চলকে চতুর্থ ইনিংসে ৩২৯ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় মধ্যাঞ্চল। আর তৃতীয় দিনেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) প্রথম জয় দেখছে দলটি। এখনও ১৭৪ রানে পিছিয়ে আছে উত্তরাঞ্চল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৫ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা দলটির শুরুটা ছিল দারুণ। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শুভাগত ও যাকে আলী ৬৮ রানের জুটি গড়েন। যদিও এ জুটি ভাঙতেই দ্রুত আরও একটি উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় দলটি। তবে এক প্রান্ত আগলে ধরে লিড বড় করার দায়িত্বে নামেন শুভাগত।

অষ্টম উইকেটে আরাফাত সানির সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ার পর ফের জোড়া উইকেট হারায় তারা। তবে দশম উইকেট জুটিতে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি তোলেন শুভাগত। জুটির সব রানই আসে শুভাগতর ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৫ রান তোলে মধ্যাঞ্চল। লিড দাঁড়ায় ৩২৯ রানে।

প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে নিজের দ্বাদশ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২২ রানের ইনিংস খেলেন শুভাগত। ১৬১ বলে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। উত্তরাঞ্চলের পক্ষে ৭৭ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন সালাহউদ্দিন শাকিল। ২টি উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। 

৩৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় উত্তরাঞ্চল। দলীয় ১৯ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন তানবির হায়দার।

এরপর জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৫৮ রানের আরও একটি জুটি গড়েন তানবির। তবে মুশফিক আউট হয়ে গেলে বড় চাপে পরে যায় দলটি। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়েছে দলের সেরা এ তারকা। এরপর স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ হতে ফিরে যান আরিফুল হকও। ফলে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছে তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত আছেন তানবির। ১১৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৩৮ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। মধ্যাঞ্চলের পক্ষে ৪৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয় দিন শেষে)

মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ১৭০

উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ১৬৬

মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: ৮৯.১ ওভারে ৩২৫ (আগের দিন ১৮৭/৫) (নাঈম ০, মার্শাল ১১, রকিবুল ২৭, মজিদ ৬৯, তাইবুর ৪৭, শুভাগত ১২২, জাকের ২২, শহিদুল ১, সানি ১৩, মুকিদুল ০, মোস্তাফিজ ০*; তাসকিন ২/৮১, শাকিল ৪/৭৭, সুমন ৩/৪৩, এনামুল ০/৫৯, আরিফুল ১/৪০, তানবির ০/১৮)।

উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৩০) ৫০ ওভারে ১৫৬/৫ (রনি ১০, জুনায়েদ ৯, তানবির ৫৪*, নাঈম ২৯, মুশফিক ৩৮, আরিফুল ৩, মাহিদুল ৫*; মুকিদুল ১/২৪, শহিদুল ৩/৪৮, মোস্তাফিজ ০/২৫, সানি ০/২৮, শুভাগত ১/২৩)।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago